প্রথম মেয়েটি ছিল জানালার পাশে-
সুমধুর কথা তার হৃদ মোহময়;
সে শরীরে ফুটে ওঠে উদ্যতযৌবন
কেশগুলি বাঁধা আছে অতি পরিপাটি!
মাঝেমাঝে তন্দ্রা আসে আবেশ আবেগে
বারবার পিছু ডাকে ভাসি সে জোয়ারে।


দ্বিতীয় মেয়েটি ছিল নীরবজোয়ারে-
চুপিচুপি বসে ছিল দু'জনার পাশে,
কথা সব শুনেছিল জোছনা আবেগে-
কণ্ঠ মাঝে দ্যুতি তার ছিল মোহময়;
গোছানো নয়ন দুটি দেখি পরিপাটি
বুক মাঝে ছোটো তিল বোঝাতে যৌবন।


তৃতীয় যুবতী মাঝে শ্রাবণযৌবন
আঁখি দুটি ভাসে যেন প্রেমের জোয়ারে-
বহু রাঙা চুলগুলি নয় পরিপাটি
একমনে নতমুখে চেয়ে থাকে পাশে;
নয়ন জুড়ানো প্রীতি শোভে মোহময়
শ্রীমুখে কামনা ছায়া তৃষিত আবেগে।


অপর বালিকা আঁখি গভীর আবেগে
ও চোখেতে লেখা আছে সহস্রযৌবন!
একবার চেয়ে ভাবি কত মোহময়-
আঁখিকূলে ভেসে যাই প্রেমের জোয়ারে-
মনে হয় ছুটে যাই বসি তার পাশে
নয়ন দুখানি ছিল শত পরিপাটি।


এ মেয়েটি স্বর্ণপ্রভা দেহ পরিপাটি
ভাসিছে আঙুলগুলি সোহাগে আবেগে-
দুইখানি  হাত যেন সবুজের পাশে
আলোকবদন জুড়ে গোপনযৌবন;
আঁখি দুটি ভাসে ওই দূরের জোয়ারে-
শরীর ভরিয়া আঁকা স্মৃতি মোহময়।


অবশেষ মেয়েখানি শ্যাম মোহময়
পিছনে আঁধার রূপে বাঁধা পরিপাটি;
দেখেছি বাতাস সাথে সুরের জোয়ারে
বহিছে গোপন কথা আদর আবেগে-
ধরা আছে লেখা আছে মোহনযৌবন
প্রকৃতি সুন্দর যেন বিরাজিছে পাশে।


বসিয়া সকলে পাশে সাথি মোহময়-
ছয়টি ঋতুযৌবন সাথে পরিপাটি
ভাসে সকলে আবেগে দেখেছি জোয়ারে।
              -------
# সেসটিনা।