সুফিয়া মমতাজ (কাব্যগ্রন্থ) : ২৪ (০৫/১১/২০১৮) অংশের পর-


              ।।২৫।। ছেলের কষ্ট
তোমার ছেলের কষ্ট য়ে হয়, কষ্ট ভুলিয়ে রাখি;
নিয়তির মাঝে সে যে মনমরা গোপনে তুলিয়া ঢাকি।
অনেক কিছুই দেখতে যে হবে ছেলের শূন্য চোখে-
জীবনেতে হার মানতে যে হবে শুধুই বাঁচার সুখে।
প্রতিদিন আসে নতুন ঘটনা নতুন কাহিনিমেলা;
হাজার মনের আবেগ সাথেতে নিত্যদুয়ার খেলা।
দিদির সাথেতে তার সখ্যতা ভুলে থাকা ইতিহাস;
দিদির কোলের মাঝেতে শিশুর কেটে যায় বারোমাস।


তোমার মৃত্যু ছেলের নিয়তি কেমন এ নির্ধারক!
অকৃত্রিম টানে লেখা আছে আজ যতই সত্য হোক!
আমরা ভোলাই মায়ের স্মৃতি গোপনে কান্না ঢেকে-
শিশুর মনের গোপন ঘরেতে কী যেন লুকানো থাকে।
বাড়িময় তার খেলনা প্রচুর খেলার সময় কত-
আমি আজ তাকে সময় দিয়েছি খেলাতেই নিয়মিত।
ওর মুখপানে চেয়েছি যখন তোমায় দেখতে পাই;
যতখানি বুঝি শিশুটি আমার আমরা যে অসহায়।


আজ ছেলেটির গায়ে আসে জ্বর সর্দি দুদিন ধরে-
তুমি যদি আজ থাকতে কাছেতে ব্যকুল করতে মোরে।
এই ছুটে যাও ডাক্তার কাছে নিয়ে আসো ঔষধ;
হীরের টুকরো ছেলেটি আমার হয়েছে ভীষণ বধ।
আজকে ছেলেটি কাবু হয়ে গেছে নেই তো হীরের দ্যুতি;
ডাক্তার এসে ওষুধ দিয়েছে এখন যে উন্নতি।
সারারাত ধরে লক্ষ্য রেখেছি দিয়েছি নিখুঁত নজর-
দিদি এসে দেখি গায়ে-পিঠে তার দেখেছে সময় ভর।


ছেলের সাথেতে সময় কাটিছে, ভালো থাকার প্রেরণা;
কখনও কোথায় তাই তো গো আমি, একা ছাড়তে পারি না।
পাকাপাকা কথা আজ খুব বলে সদা চঞ্চলভাব;
হাসাহাসি করে বাড়ির লোকেরা ভাবি বুঝি উত্সব।
এই কথা শুনে একদিন তুমি মুখ চেপে চেপে হাসতে-
ছেলের এমন দুষ্টুমিগুলি, জানি তুমি ভালোবাসতে।
আজ যদি আমি দেখাতে পেতাম ছেলে আচরণগুলি;
কতনা তোমার ভালো যে লাগিত ছেলের মুখের বুলি।
               -------
** চলবে।