সুফিয়া মমতাজ (কাব্যগ্রন্থ) : ১০ (২২/১০/২০১৮) অংশের পর-


           ।।১১।। ছন্দপতন ও আমার অশ্রুধারা
তুমি যদি আজ থাকতে গো বেঁচে কাঁদতে আনন্দেতে-
আমার মনের সকল কাহিনি বুঝতে এ জীবনেতে।
কত যে তোমায় ভালোবাসিয়াছি বোঝাব কেমন করে
তোমার কথায় ভাবিয়া চলেছি আমার শূন্যঘরে।
আমার ভিতরে আবেগ গীতিকা, আবেগ সুফির প্রতি
আমরা ছিলাম বন্ধুর মতো যদিও বা স্বামী স্ত্রী।
কীভাবে সময় কেটে যেত বেলা বুঝিনি কীভাবে কখন
আজ সব কিছু বুঝে গেছি আমি যখন ছন্দ পতন।


আমার কতই কষ্ট যে হয়, কষ্ট যে বীভৎস!
আমার প্রকাশ শুধু তোমাতেই এখন ভগ্নাংশ।
আজ যদি তুমি থাকতে কাছেতে ভোলাতে আমার কষ্ট;
আমার চোখের জলধি মোছাতে তুমিই প্রেমের শ্রেষ্ঠ।
বাড়ির বাইরে যখন থেকেছি তখন বুঝিনা কিছু;
বাড়িতে এলেই চোখের কোণেতে অশ্রুধারা যে পিছু।
এখানে খুঁজেছি ওখানে হারাই তোমার গন্ধ মাখা;
সব ঘরে যাই ঘুরে ফিরে দেখি, লাগে বড়ো ফাঁকা।


এই কটা দিনে পাল্টে গিয়েছি পাল্টেছে এই জগত;
নীরব দেহেতে পড়ে আছে শুধু বুকের উপরে স্রোত!
জেনে গেছি আমি জীবনের মাঝে শুধুই হাহুতাশ
নীরব কান্না সাথি হয় আজ গোপন দীর্ঘশ্বাস!
সবই তো বুঝি মনকে বোঝাই কেউ নয় চিরদিন
সমুদ্র মাঝে এক ফোটা জল অনায়াসে বুঝি বিলীন।
কোথায় বা যেন লুকিয়ে রেখেছি নিমিত্ত প্রয়োজন
তোমার বিছেদ বড়ো বুকে বাঁধে মায়ায় রোমন্থন।


কতই স্মৃতি মনের কোঠায় অনায়াসে ভিড় করে
সবই হারানো বেদনা যে আজ মনে পড়ে বারেবারে।
পুলকিত মন গভীর বেদনা দুঃখ অজান্তে
নিয়তি খেলায় হেরে গেছি আমি পারিনি তো জানতে।
তোমার শোকে কেঁদেছি আমি কেঁদেছে দেশের লোক
আমার কান্না থামিয়েছি আমি লুপ্ত করেছি শোক!
বুকটি করেছি শক্ত আজিকে কবরে দিয়েছি মাটি;
কত যে কষ্ট বোঝাতে পারিনি থামিয়ে কান্নাটি।
           ---------
** চলবে।