সুফিয়া মমতাজ (কাব্যগ্রন্থ) : ১২ (২৪/১০/২০১৮) অংশের পর-


         ।।১৩।। তুমি ও তোমার দর্শন
মুখেতে তোমার দীপ্তজ্যোতি কণ্ঠ সমুজ্জ্বল;
লড়াইয়ের কাছে হার মানো নাই জীবন যে অবিচল।
তোমার চলন, তোমার কথন তোমার ভাবনা-মন;
তোমাতেই যেন লুকিয়েই ছিল আগামীর দর্শন।
বাড়িয়ে নয় যে সত্য বলেছি আমার হৃদয়ে হাত
কত ভালো ছিলে কত ভালো তুমি জীবনেতে প্রণিপাত।
তোমার সে কথা, তোমার আচার তোমার বসন, বেশ-
তুমি বুঝি ছিলে শান্তিকুঞ্জ তুমিই আমার দেশ।


লেখাপড়া সাথে সহকারী মন, মন যে সবার প্রতি-
শিশুদের মাঝে সংসার মাঝে যত্ন রেখেছ অতি।
স্বভাব মনেতে সবাকার সাথে রাখিতে মনের ভাব
পাড়াপ্রতিবেশী তাই আজ বোঝে তোমার নিত্য অভাব।
সকালের বেলা শেষ হয়ে যায়, আসে সন্ধ্যার কাল
সবাই ফেরে যে নিজের ঘরেতে আমি বুঝি বেসামাল।
তুমি আর প্রিয় আসবে না ঘরে এমন জীবন নিয়ে-
তোমার সে রীতি তোমার নিয়ম ভুলি আমরা হারিয়ে।


যেমন রেখেছ তোমার ও মন তোমার মায়ের প্রতি;
আব্বুকে আজ সালাম জানাতে মায়ের যদিও ক্ষতি।
তোমার সে ভাই, বোনেদের প্রতি তোমার খেয়াল ছিল;
প্রতিদিন তুমি কুশল জেনেছ নিত্য সঞ্চারিল।
তুমি যদি কভু থেকেছ বাড়িতে আমার বিদায়বেলা-
একা বুঝি আর লাগেনা যে ভালো কেমন হতাশ খেলা।
কাছেতে আসিয়া দোরটি খুলিতে কেমন বিরহ মন;
সেই সব কথা একেলা ভেবেছি আমি একেলা যখন।


প্রতিদিন এসে কথা বলে গেছ সারাদিন যা যা হল
তোমার কলিগ, প্রিয় বান্ধবী কে বুঝি কী বলেছিল!
স্কুলের ছাত্র কোন দুষ্টুমি করে গেছে এসে আজ;
চলার পথেতে  কী বা হয়েছিল কোথায় কেমন কাজ।
মানিজার সাথে সময় কাটাও তোমার রান্নাঘরে;
ছোটো মেয়েটির হাজার প্রশ্ন একটা দিনের পরে।
মানিশ তোমার বড়ো প্রিয় ছিল তার কত দুষ্টুমি
তোমার জীবনে সহজ গণিত বুঝে গেছিলাম আমি।
                  --------
** চলবে।