সুফিয়া মমতাজ (কাব্যগ্রন্থ) : ১৩ (২৫/১০/২০১৮) অংশের পর-


              ।।১৪।। আমার সহধর্মিণী
কোন অজানায় চলে গেছ আজ সেই যে না ফেরা দেশ;
এক দশকের জীবন পথের আজ বুঝি হল শেষ।
মনে পড়ে আজ কত কথা প্রিয় তোমার ছবিতে সাথি;
যতবার দেখি কেঁপে কেঁপে উঠি আমার দিবসরাতি।
আমাদের ঘর একসাথে ছিল আমার বিবাহবার্তা;
কে যেন আনিল খবর কাছেতে যুবতী সুফির মিতা।
খবর পেয়েই তোমাকে দেখেছি চোখেতে পড়েছে চোখ;
তোমাকে রাখিব আপনার করে আর যা হয় হোক!


তুমিই আমার প্রথম পাত্রী তুমিই ছিলে দ্বিতীয়;
এই ভুবনের গোপন ঘরেতে তুমি ছিলে মোর প্রিয়।
তখন যে তুমি কলেজেতে পড়ো বয়স সবে উনিশ!
তোমার মেধার মর্যাদা দিই ওই রূপে কুর্নিশ।
তোমার মুখেতে দেখেছি যে আমি দীপ্ত চাঁদের আলো;
সহজ মনের মানুষ তুমি যে, নবরূপে কত ভালো।
তোমার চলন তোমার বসন মুগ্ধ করেছে মোরে-
শুভ কাজে আর করিনি তো দেরি তোমাকে আনিব ঘরে।


সব জেনে-শুনে কবুল করিলে আসিলে আমার ঘরে;
তোমার আস্থা, পড়াশোনা দিয়ে মিশে গেলে অন্তরে।
নতুন এ ঘর, নতুন সে বাড়ি নতুন মধুজীবন;
তোমার মহিমা পরম মুক্তি সুন্দর ওই মন।
দুই মন মিশে এক হয়ে গেছি একাকার দুই প্রাণ;
আমিও তখন চাকরি পাইনি অন্য সংস্থান।
তোমার ভাগ্যে আমার ভাগ্য ভালোই কেটেছে বেলা-
আমরা দুজন অধ্যবসায়ে করিনি তো অবহেলা।


আমাদের সুখে প্রিয় সন্তান ঘর বুঝি আলো হয়;
স্নেহের মানিজা জন্ম নিয়েছে আমরা আনন্দময়।
তারপরে শুধু সুখের দিবস খুশিতে বছর মাস;
তারপরে প্রিয়া কণ্ঠ যে রোধ ভাগ্যের পরিহাস।
তুমি যে দিয়েছ ওই মনপ্রাণ আমার সহধর্মিণী;
তুমি নেই আজ শোক জ্ঞাপনে আমি কত মর্মীনি।
আজ যে আমার লজ্জা নয় গো হচ্ছে গর্ববোধ;
তোমার শোকেতে শোকাতুর আমি দেব তার প্রতিশোধ।
                ---------
** চলবে।