সুফিয়া মমতাজ (কাব্যগ্রন্থ) : ১৮ (৩০/১০/২০১৮) অংশের পর-
                
             ।।১৯।। তোমার ছবি
ঘরেতে হঠাৎ নজরে পড়িল তোমার সে ছবিখানি;
কাঁদিলাম প্রিয়! জলে ভাসিলাম! ছবিটি কাছেতে আনি।
কত সোহাগের কত আদরের সবুজ-সতেজ ছবি;
তোমার ছবিতে হার মানে যেন নিত্য দিনের রবি।
কত উজ্জ্বল, কত শোভাময়, রেখেছি অতি যতনে-
একফোটা জল পড়ে অনায়াসে তোমার ছবির কোণে।
হাত বুলালাম ছবিটির 'পরে বলিতে চেয়েছি কথা;
তুমি যেন আজ হেসেই আকুল মোরে ভুলে অন্যথা।


তেমন কোথাও ঘুরিনি আমরা, ঘুরতে যাই নি দূরে-
এই পথ-বাড়ি এই তুমি-আমি ছেলে মেয়েদের সুরে।
সারাদিন কাজ, আর ছোটাছুটি, ছুটি শুধু রবিবার;
দূরেতে কোথাও হয়নি তো যাওয়া যাবার অঙ্গীকার;
সেদিন আমরা ফেরার পথেতে কাটরার মসজিদে -
কিছূটা সময় কাটিয়ে এসেছি ঘুরেছি নবীন হৃদে।
সেখানে কতক চিত্র তুলেছি রেখেছি যতন করে-
তোমার মুখের মলিন সে শোভা দেখেছি দু'চোখ ভরে।


কিছুদিন আগে ছবিতে তুলেছি ছেলে মেয়েদের সাথে-
সেইখানে তোলা কিছু ছবি আছে তোমার সাক্ষাতে।
মানিশ তোমার কোলেতে বসিয়া তখন কয়েক মাস;
চশমার চোখে সেই ছবিখানি চিরদিনে অভ্যাস।
আমরা সবাই একসাথে আছি ছবিতেই সংসার;
তুমিহীন আজ সেই ছবিখানি আমার অলঙ্কার।
কত হাসিখুশি, কত মজাদার কতই ছান্দসিক;
তোমার সাথেতে পথচলা প্রিয় থেমে গেছে আজ দিক।


খবর পাতায় ছবি ছেপেছিল সেই ফেসবুক থেকে-
ফেসবুকে কিছু ছবি ছিল প্রিয় স্কুল পিছে রেখে।
সেখানে তোমার প্রতিমামুরতি দীপ্ত সে দরদিয়া-
বারবার শুধু সবে চেয়ে দেখে আর বলে -এ সুফিয়া।
আজকে আবার ছবিটি তুলেছি দিয়েছি তোমার পেজে-
তোমার পাতায় শোভাময় ছবি এসে তুমি দেখো না যে!
ছেলে-মেয়েদের এই সব ছবি দেখবে না কোনোদিন;
ফেসবুক মাঝে তোমার পাতায় হবে না যে লগইন।
              ----------


** চলবে।