সুফিয়া মমতাজ (কাব্যগ্রন্থ) : ১৯ (৩১/১০/২০১৮) অংশের পর-


                ।।২০।। আজ রমজান
আজ রমজান তুমি নেই কাছে, নেই মনে তাই খুশি;
তোমার অভাব বুঝেছি আমরা আজকেতে বেশি বেশি।
প্রতিবার আসে রমজান দিন ইফতার নিজ হাতে-
আমরা সবাই মিলেমিশে থাকি কাজ করি হাতে হাতে।
নিজের তৈরি পদ করিয়াছ চেনা সেই ভাজাভাজি,
খুশিতে সবাই মুগ্ধ হতাম মনে পড়ে তাই আজি।
এবার যে আর, খাওয়া হল না সে সাধের সেই পদ;
সেই পদ নিয়ে মনের মাঝারে কত খুশি আহ্লাদ।


তুমিই বলতে আমাদের ছেলে আগামীতে ইফতারে-
আলাদা আলাদা সামগ্রী চাই আলাদা অলঙ্কারে।
সেই সাধ আজ মিটিয়েছি প্রিয় আলাদা বসেছে সে-
যতটা খেয়েছে তার থেকে বেশি নষ্ট করেছে যে!
ছেলের মজাতে খুশি হই মোরা আনন্দ করি ভাগ
তার মাঝে যেন বুঝে গেছি আমি তুমিই ছিলে সজাগ।
কষ্ট পেয়েছি ভীষণ কষ্ট কষ্ট পেয়েছি সোনা!
কষ্টের মাঝে লুকিয়ে রেখেছি আমাদের সান্ত্বনা।


রমজান শেষে খুশির চন্দ্র কুশলতা বিনিময়
কত হইচই কত তোড়জোড় প্রস্তুতির সময়।
কত স্মৃতি আর গল্পের কথা রাত জেগে দৌড়ঝাপ;
পটকা ফাটানো ডানপিটে দল রাতভর দেয় লাফ।
এই সব দিনে অবাধ্যদের উচ্চ সে চিৎকার!
সইতে পারিনি প্রতিবাদ করি বিরুদ্ধ সমাহার।
তুমিই বলতে- বাড়াবাড়ি নয়, আনন্দে থাক ওরা,
এমন দিবস বছর মাঝেতে কটা পায় বলো ছেলেরা।


এভাবেই বুঝি রাত চলে যেত আসত নতুন ভোর;
গল্পকথায় রাত কেটে যেত পাইনি তার উত্তর;
বিরবির করে কত কথা তুমি বলতে নিজের মুখে-
কত কাজ তুমি একহাতে করো ইদের দিনের সুখে।
তাই বুঝি আর, পাব না যে আমি, এই হাসির সুযোগ-
হাসতে যে হবে ছেলে মেয়ে নিয়ে মন মাঝে দুর্যোগ।
অনেকের সাথে বলে যাব কথা হাসি মিশ্রিত ভাব;
এর মাঝে আজ নেই সান্ত্বনা মনে তোমার অভাব।
               ----------
** চলবে।