সুফিয়া মমতাজ (কাব্যগ্রন্থ) : ৩৫ (১৬/১১/২০১৮) অংশের পর-


              ।।৩৬।। অবুঝ সান্ত্বনা
আজ তাই বুঝি হয়ে গেছি আমি কত যেন আনমনা-
তোমাকে হারিয়ে পেয়েছি জীবনে নিষ্ঠুর সান্ত্বনা।
পত্র লেখার অভ্যাস নেই ভুলেছি সকল কিছু;
তবুও বিলাপ করেছি ভাষায় বলিতে তোমার পিছু।
যখন আমার নিভৃতকাল একেলা শূন্যঘরে-
তোমার আদর সোহাগের মালা আমার মনেতে পরে।
তাইত বসেছি একেলার মতো লিখতে তোমার কথা
ছেলে ও মেয়েরা ঘুমিয়ে পরিলে আমার এ কথকতা।


আজ তুমি প্রিয় অনেক দূরেতে অজানার ঠিকানায়-
ছেড়ে চলে গেছ দূরদেশে জানি সে কোন অজানায়।
তোমাকে দেখার সেই স্বাদ নেই কিছু যে নেই বলার
জীবন পথের সম্বল ছিলে সাথি ছিলে পথ চলার।
কত জন আসে, কত কথা বলে- সয়ে কিছু যন্ত্রণা
পিঠে হাত দিয়ে বলে যায় শুধু ভালো থাকা সান্ত্বনা।
ছেলে মেয়েদের চোখের দিকেতে তাকাতে পারে না কেউ-
দুধের শিশুর মুখের মাঝেতে মিশে আছে কত ঢেউ।


খুশির দিনেতে উৎসব এলে আনন্দ যখন মাখি;
সবার আগেই মনে পড়ে প্রিয় তোমার সজল আঁখি।
চারিদিকে খুশি কত কত কথা মানুষের মাঝে থাকে
আমার মাঝেতে একটিই কথা কেমন ধরিয়া রাখে।
যতদিন যাবে বিস্মৃত হবে সকল মানুষ চেয়ে-
চিরদিন তুমি আমার কাছেতে আমার হৃদয় বেয়ে।
তোমার কথায় মনে পড়ে আজ তোমার সবুজ হাসি
স্মৃতিটা এসেই মন ভার করে আমার কাছেতে আসি।
      
আমরা আছি গো! আমাদের আছে দেহ, মন, সংসার
শরীর ও মন ভালো থাকে না যে বালকের, বালিকার।
আজ ছেলেটির শরীর খারাপ দেহ জুড়ে জ্বর তারও-
দুরন্ত শিশু কাবু হয়ে গেছে কাবু হয়ে গেছে বড়ো।
মেয়েটি কখন মন ভার করে চাই না খেতে যে কিছু;
ওদের মনের আনন্দ দিতে আমি নিই তার পিছু।
এভাবেই আজ দিন কেটে যায় কেটে যায় এ ভাবনা
পোড়া মনে আজ নিজে থেকে দিই অবুঝ এ সান্ত্বনা।
               --------------
** চলবে।