সুফিয়া মমতাজ (কাব্যগ্রন্থ) : ৩৮ (১৯/১১/২০১৮) অংশের পর-


        ।।৩৯।। মনখারাপের একলা বিকাল
মনখারাপের একলা বিকাল একলা এ বাতায়নে-
মাঝেমাঝে আজ বৃষ্টিঝাপট অবাক করেছে মনে।
একদিন ছিল এমন বিকাল মনে পড়ে তোমাকেই;
মনের কোণেতে এসেছিল প্রেম গান গেয়ে সুরেতেই।
প্রেম ভরা মন তোমার কথাতে থাকত শুধুই চেয়ে-
এমন বিকালে কত খুশি ছিল কাছেতে তোমায় পেয়ে।
গাছের পাতায় জলের ধারাটি বহিছে আঁচল ছুঁয়ে-
আমার সকল প্রেম-প্রতিদান তোমার পায়েতে ধুয়ে।


আপন গাছেতে যত পাতা ছিল ঝাপটা হাওয়ায় দোলে-
কেমন করিয়া সরাব সে সব রেখেছি আদরে তুলে।
তোমার চোখের পাতার মাঝেতে দেখেছি খুশির ধারা-
তোমার শাড়িতে বাদলবাতাস নবরূপে দিত সাড়া।
তোমার চোখেতে দুষ্টুহাসি কথা ছিল কানেকানে-
তখন হয়তো বুঝি নাই কিছু চেয়েছি আকাশপানে।
বৃষ্টির সুরে গান গেয়েছিলে আমার গলাটি ধরে;
শূন্যবিকালে মনে পড়ে আজ বৃষ্টির সুরে সুরে।


মিষ্টি বাতাস করিত আপন ভরাত মোদের মন;
এক আঙিনায় মিলিত মোদের তৃষিত সে নয়ন।
কত কথা আজ, বলে গেছ তুমি আপনবেলার কথা
বৃষ্টির পানে চেয়ে চেয়ে মন শুনেছে তোমার ব্যথা।
তোমার বিকাল তোমার সকাল ছোটোবেলা মাঝে তুমি-
নীরব সুরেতে জানাতে আমায় এমন বাদলভূমি।
এমন দিনেতে প্রশ্ন করিতে আমার হৃদয়ে সোনা-
কত কথা যেন বলিনি সেদিন হয়ে গেছি আনমনা।


এই হৃদয়ের গোপন ঘরেতে বসে আছি আমি একা-
যদি কোনোদিন বৃষ্টিবাতাসে তুমি এসে দাও দেখা।
দূরের আকাশ ভেসে গেছে আজ আঁধারবেলার মনে-
দাঁড়িয়ে আছি গো! আমার প্রিয়তি আজকে আঁধার সনে।
একলা বেলার একলা সময় মন খারাপের মাঝে-
তোমার ছবিটি দেখতেই থাকি একলা শ্রাবণ সাঁঝে।
মন ভালো আর হবে না তো প্রিয় তবুও তোমায় রাখি
এমন বাদলে ভিজে ভিজে আমি সজল করিব আঁখি।
             ---------
** চলবে।