সুফিয়া মমতাজ (কাব্যগ্রন্থ) : ৪৪ (২৫/১১/২০১৮) অংশের পর-


                ।।৪৫।। কবির কাব্য
তোমার অভাবে তোমার রোদনে কেঁদেছে সমাজবাসী;
অনেকে এসেছে শোক মেখে গায়ে অপরিচিত-র হাসি।
অনেক বন্ধু ফেসবুক মাঝে জানায় দুঃখের কথা-
সমব্যথী প্রাণ দেখে আসে ঘুরে মন মাঝে নবীনতা।
অনেকে আবার খোঁজ নেয় রোজ, খোঁজ নেয় দূরভাষে-
কাজের পথেতে আমাদের কথা জানতে কেউ গো আসে।
ছেলে মেয়েদের খবরাখবর ওদের প্রতি যে দোয়া-
সবাকার মন দেখা দিয়ে যায় ভালোবাসিবার ছোঁয়া।


তোমার ঘটনা জানিবার কালে কেঁদে গেছে এক কবি!
সুমধুর সুরে লিখে গেছে আজ, লিখে গেছে তার সবই।
চেনে না তোমায়, জানে না আমার, তবুও হৃদয়বান;
মানিজা মানিশ আজ যেন তার হৃদয়ের সন্তান।
আমার চিঠিটি পাঠ করে শেষে কেঁদেছে একার ঘরে-
তোমার বেদন আজ বুঝি তাই কবিও বুঝিতে পারে।
'সুফিয়া কাব্য' আজ লিখে গেছে আমার কথার দানে
কত কথা তার ভাবনায় আছে কত কথা অনুমানে।


কবির ঘরেতে এক ছেলে মেয়ে, গিন্নি তোমার মতো-
কত মিল যেন আমাদের মাঝে আজ কত বন্ধুত্ব।
দিন শেষে আজ ফোন করে কবি জানতে চেয়েছে কিছু-
আমিও থেকেছি অপেক্ষা সাথে কবির কথার পিছু।
আমার তোমার সব কথাগুলি, ছেলে-মেয়েদের সব;
মাত্রাবৃত্ত ছন্দের সাথে করে গেছে অনুভব।
আমার মনের সকল ব্যথায় কবির মনেতে আছে-
আমার তোমার সোহাগের বেলা সেওতো কবির কাছে।


প্রিয় কবি সেই বাড়ির কাছেই পড়শি নদিয়া জেলার;
কাব্যকথায় সব লিখেছেন কবি সে সুজিতকুমার।
পায়রাডাঙায় বাস করে কবি অনেক গুণেতে গুণী-
অনেক তাহার শিক্ষাদিক্ষা লোকমুখে আজ শুনি।
কবির ভাষায় অমরকাব্য ঘুরিবে গো দেশ ময়;
তুমি যে আমার প্রিয়তি সুফিয়া তাই হোক পরিচয়।
আটচল্লিশ পর্বে এ কথা কাব্য তুলনাহীন;
কবির কাছেতে আজকে জানাই কৃতজ্ঞতার ঋণ।
            ----------
** চলবে।