মলয় পাহাড় সুর তুলে দেয় নিলয় আকাশ কোণে,
চিহ্ন এঁকে ভোরের পাখি বসন্ত বাতায়নে।
নীরব শহর ফুলের গানে কোকিল হয়ে ডাকে,
আমার তুলি মন জানালায় তোমার ছবি আঁকে।
বিকেল বেলার বিষণ্নতা,
আমার গানের প্রধান শ্রোতা,
সুনীল কেন ডুব দিয়েছে বরুণা নদীর ঘাটে,
ফাল্গুনেরই ঝর্ণাধারা এ জীর্ণ তল্লাটে।


অলস পাখি বলছে কী কী, পাতার ভাঁজে ঝিকিমিকি
মেঘের উঠান রোদের চুলায় ভাবছে তোমায়, ভাবছে ঠিকই।
এই দিবসে শিউলী হাসে,
মৌন বিকেল সর্বনাশে,
আরেক বছর, ফাগুন সফর, মেঘনা নদীর জলে,
বসন্তের এই রঙীন ঘুড়ি পড়ুক রসাতলে।


সন্ধ্যা-শালিক চায়ের কাপে, বৃত্ত-ধোঁয়ার বাষ্পতাপে,
পকেটভরা মায়ার টিকেট পুড়ছে প্রেমের অভিশাপে।
আলোর রাতের পথিক আমি কংক্রিটের পারে,
খুঁজে পাবে আমায় তুমি লাল চেয়ারের ধারে।
জমছে আসর-শিল্প-আলাপ,
আড্ডা-রাতের পাগল-প্রলাপ,
জোনাক পোকার আদিম আলোয়-
দিচ্ছে সবাই কুন্ঠিত ঝাঁপ,
আমার আকাশ রাত্রি দেখে স্নিগ্ধ শীতের চক্করে,
আড্ডা গুলো পূর্ণ থাকুক প্রতিবিম্বের অক্ষরে।