আমি আজ কত কত দুয়ারী।
এক পথে সমন জারি,
পথ পাহারায় খল জুয়ারি,
তাক বন্দুক তার অব্যর্থ শিকারি।
অন্য এক পথে ব্যথা,
আরেক পথে কষ্ট,
সুখের পথটি বিলিণ প্রায়,
এমনি সব পথে পথে শুধুই জটিলতা।
জানিনা কোন পথে পাবো নিষ্কৃতি।
তবু ভাবনায় পথে আমি ছড়াই হাসি,
একটু শান্তির তরে আজ কারাবাসী।
মন বলে সব পথ ভুলে যাও,
মানুষ তুমি দুই দুয়ারী।
এক দুয়ার ধরে এলে যদি,
অন্য দুয়ার যাবার লাগি।
কেন মন, কেন তবে অন্য স্বপনঘোর,
কেন তায় এতো আপত্তি।
আমি স্বপ্নের হাত ধরে যবে,
অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসি,
ছায়াপথ ধরে ফিরে এসে ঘরে,
আলো খুঁজতে গিয়ে দেখি,
এখানে সলতের আলো তবু জ্বলছে-
তবে তা নিভু নিভু প্রায়।
এখানে হায় আঁধার আরো বেশি দেখা যায়।
এখানে স্বপন চোখে চোখ রাখে,
ছুটে যাই, তারে ধরতে চাই,
ক্ষণিকা সে পালায় নিমিষে,
নিশিথের মধ্য বেলায়,
ঘুম ভেঙ্গে যায়,
চেঁচিয়ে উঠে এ হৃদয়,
অধরা শুধু হেসে পালায় দূরে,
তার কুহু ধ্বনি ছমছম বাজে এই বুকে,
দুর্নিবার অসুখে,
অতলান্তে ডুবে যাই, ঠাই নাহি পাই।
স্বপনে যা পায়, আবার স্বপ্নে হারায়।
মন তবু তার পানে ধায়,
ঠোট আঁটে খিল ও পাশের দরজায়।
তবু প্রাণের প্রলয় খেলা চলে এই পরাণে,
তার কারনে, রিক্ত হই, জলে হই সিক্ত।
হই অকারণে আরক্ত,
জীবনের লেলিহান শিখা আজ অগ্নি খেলায় মত্ত্ব।
আগুনবরণ করে পুড়ে অনলে,
দাবানলের দাহে উত্তাপে অস্থির উতরোলে,
ধ্বংস যজ্ঞ শুধু অপেক্ষায়, দুচোখ শত তিতিক্ষায়,
চেয়ে আছে ঠায়, এভাবেই ক্ষণ যায়, দিন যায়।
তবু শান্তি পিয়াসি এই মন যাবার বেলায়।