সেই সব শালিকেরা আজো খুটে খায়,
মাঠ জুড়ে; পোহায় কার্তিকের রোদ,
স্নিগ্ধকর অবলোকনে,
শান্তিময় প্রকৃতিজ দুটি চোখ,
অপেক্ষায় ক্ষণেক দূরে,
ছায়াপথে ফানুস উড়ে,
জীবন তারে নিয়ে এসেছে,
কোথা হতে এই মাটির টানে,
ভেসে গেছে অতীত অনাহুত বানে।
শীতল প্রকৃতি, বোঝে নাই কিছু,
গাছে গাছে ফুটেছে পলাশ।
শীতার্ত মনে তার কাগুজে স্মৃতি,
ছেড়া পাতা, শূন্য খাতা জুড়ে শুধু দীর্ঘশ্বাস।
অশ্বত্থের পত্র বিহিন ডালের মতো খাঁ খাঁ বিরান,
আকাশপটে চিলেরছোঁ এর মতো সেইসব গত,
গতিময় আরোহ, কোথা কোথা খুঁজে,
পাড়ি দিয়েছে প্লাবনে সঙ্কিত ঝড়ে,
হাওয়ায় সেই চিঠি তার আকাশে উড়ে।
তারে ধরেনি সময়, ফুরায় না সে পথ তায়।
আজো ভেসে চলেছে সে অন্তিম যাত্রায়।
কোন এক রক্তপ প্রেমিকার তরে,
দারি কমা হীন শতেক স্তুতিচ্ছলে লেখা চরণ।
এখানে ভেজা বাতাস,
শিশিরজল ঘাসের পরে, অনাদরে;
এখানে ফাঁকা সব, কিছু বুঝি নাই দৃষ্টিগোচরে।