স্নিগ্ধ নির্জনতায় ঘুমিয়ে আছি।
কোলাহোল থেকে দূরে,
সমাছন্নে, নিরিবিচ্ছিন্ন নীরবতায় ।
আগে আসিনি কখনও এখানে,
পাইনি এমন প্রশান্তি।
পাতার বিছানায় শুয়ে কাটছে সময়।
বাতাশে মরমর শব্দ,
আমারে শান্তির পরশ বুলিয়ে চলেছে অচিন হাওয়া।
এমন ঘটেনি আগে,
যখন আমি জীবিত ছিলাম!
ছিলাম অর্বাচীন,
ছিলাম একটি ছোট্ট মাছের মতো।
স্বাধ ছিল নিরন্তর বাঁচার,
শখ ছিল ডুব সাঁতারে পাড়ি দেবার,
প্রশান্ত মহাসাগর।
এখন সুখে এপাশ ওপাশ,
ভাঙ্গছে মাটির ঢেলা।
নাকে সোঁদা গন্ধ।
টের পাচ্ছি শিকড়ের অস্তিত্ব।
ধীরেধীরে হয়তো আমি বৃক্ষ হবো।
কেউ যদি পায়ের তলায় কচলে না দেয়!
আমার কিছু ডাল হবে,
ডাল গুলো ছেয়ে যাবে,
পাতায় পাতায়।
পাতার ভাঁজে ভাঁজে ফুটবে ফুল।
শিশিরস্নাত শীতের কুয়াসাচ্ছন্ন সকালে,
কিশোরীর কাফতান ভরে উঠবে ফুলে ফুলে।
ক্ষণিকের তরে থমকে চেয়ে রবে পথিকরা।
কেউবা জিরিয়ে নেবে শান্ত শীতল ছায়ায়।
বর্ষায় বৃষ্টি শেষের সবুজ ঘ্রানের উৎসবে,
চড়ুই এর ঝাক, নাঁচবে এক ডাল থেকে আরেক ডালে,
মাতবে কিচির মিচির উল্লাসে।