যদি কখনও দেখা হয় তার সাথে,
তোমাদের কারো, হটাৎ কোথাও চলতি পথে।
পৌছে দিও এই পত্র!
বলো ভালোবেসেছিলাম তারে।
সহজ শব্দে, নিজ নিশ্বাসের মতো আপন করে।
কাছে এসেছিলাম আধারের ক্ষণে।
সবাই যখন বেলা ফুরানোর ভয়ে ব্যস্ত।
দিনআনি শ্রমিক যখন প্রেমিকারে লয়ে,
চলেছে দূর পরবাসে-
নষ্ট পথিকেরা কিংবা অধিক ভালোবাসে।
আসে নাই যে প্রেম এখনও, তবু কেউ সেই স্বপ্ন দেখে।
যে আকাশ তারা ধরতে পারে না,
জোনাক বুঝি একমাত্র সম্বল।
বিলাসী বাগানের শিউলি, বকুল, হাসনাহেনা-
কারে যেন ভালোবেসে জীবন থেকে ঝরে গেছে।
পুজারি প্রভাতে কুড়ায়ে তারে প্রভুর চরণে চড়ায়েছে।
ঘরের টানে ঘর ছেড়েছে যে পাখি।
কুসুম দল উন্মুখ হয়েছে ডাকি।
ফিরবে কি কখনও নীড়ে!
চরকা কাটে কেউ, গড়তে বুনন।
অপেক্ষার নয়ন-
ধূসর প্রান্তরে চেয়ে রবে-
বার্তা পাবে কখন কবে?
জিজ্ঞাসিবে খেয়া ঘাটে,
ফিরবে হেথায়-
রাখবে চরণ বাটে বাটে।
মনের দুয়ার খুলে গেয়ে উঠবে দূরপাল্লার কেউ।
সাথি হবে তার উদাসী ঢেউ।
বৈরি সময়েরে করবে স্বরণ।
দেখবে কালাকাল, করবে নিভৃতে নীরব স্মৃতিচারণ।
মহাকালের গ্রাসে বৃথা লাগে সব।
সুখের তরে তবু উৎসব।
আখি সুধা চায়,
দায় কি মুছে যায়!
আনিত ভাষায় ব্যক্ত কথন-
বলবে কেউ, বুঝবে কেউ,
কেউ চাইবে তারে করতে আপন।
বাঁকা শশী আধার ঘুচায়ে আলো আনে।
শান্ত পুকুরে পদ্ম ফুটবে কখনও,
অবাক চেয়ে রবে চড়ুই পাখিটি,
জলের পানে-
শাঁখে শাঁখে নাচবে, খুশিতে।
ফিস ফিস সুর তুলে বাতাস বইবে মৃদুমন্দ।
দৃষ্টি দেখবে পাতার ছন্দ।
ব্যথা ভরা ক্লান্ত চোখেরে-
সাগরের জল দেবে ধুয়ায়ে।
প্লাবনে প্লাবন কষ্টরে নেবে ভাসায়ে।
করবে ভালোবাসারে পবিত্র।