খেয়া ঘাটে বসে ভাবছি একা।
একি! কেহ কি নাই!
তবে কি বন্ধ হয়েছে পারাপার,
চারিদিকে এতো কালো!
কেন এতো অন্ধকার, সন্ধা ঘনায়ে; নেমেছে কি আঁধার!
নাকি তাহাদের দীনতায় ছেয়েছে চারিধার।
প্রাণঘাতি কেউ আসবে কি তবে,
ভয় পাই যেন; তবু মন মাঝ থেকে সত্য বলে,
ভয় কিসের; প্রাণ যাবে, এর বেশিতো কিছু নয়।
শুনে হেসে উঠে চ্ছল চ্ছল নদীর জল,
অদূরে সেথায় হাসে শতদল;
কেটে যায় সময় সময়েরে পিসে,
শশি এসে হেসে হেসে,
অভয় জানায় আমারে নিমিষে,
কেটে যাবে রাত, আসবে প্রভাত।
দীনতা কি তবু, থেকে যাবে প্রভু!
তুমি তো আসো না,
বসত করো কি আমাদের মাঝে,
দেখো কি দূরে থেকে অন্যায় অত্যাচার;
এখানে মানুষে মানুষ মারে,
শিকারি যেমন নিষ্ঠুরতায় শিকার করে জানোয়ার।
এই আবাস আজ নয় যে তোমার,
এই আবাস নয় যে আমার,
খণ্ডিত ভাগে ভাগে; এ জগৎ কি শুধুই তাদের!
ক্ষমতার বলে যারা করে অবিচার।
দুষ্টের হুঙ্কারে গর্জে ওঠে অশনি,
সংস্কার বচন ক্ষিণ স্বরে শুনি।
কঠোর বাচ্যে কেউ কেউ মানবতাকে খাচ্ছে,
পেট ভরা বুলি ঝেড়ে নির্ভয়ারণ্যে ঘুমাচ্ছে।
নিশ্চুপ সবল, মরে মরুক দুর্বল,
ভাবে, ও বেটা কেন কাঙ্গাল হয়ে এ ধরায় জন্মেছে।
অত্যাচারি তবু তারে কিছু দিবে,
নির্যাতিত দুর্বলেরা কি কখনও দেয়, ও যে শুধুই নিবে।
তাইতো বলি যে নিজেরে ভাবছো দুর্বল,
তোমার শুধু কি পালানোর পা দুটিই আছে!
নাই কি দুটি হাত!
হোক তবে আঘাত।
চলো আজ তবে রণ ধ্বনি বাজাই;
যুদ্ধের সাজে নিজেরে সাজাই।
এ ধরায় জন্মেছো যদি,
বাঁচতে যুদ্ধ তবে চলুক নিরবধি।
অত্যাচারি কেহ পার পায়নি আজ অবধি।
দুরভিসন্ধি পবন বইছে যখন-
রুখে দাও তারে, চোখে ভাসুুক অত্যাচারির মৃত্যু সমন।
অগ্নি ঝরা তপনে উড়ুক তোমাদের বিজয় নিষান।