খোলা প্রান্তরে, মস্ত বড় মাঠে;
হয়তো তুমি একা রবে,
বাতাসে বাতাসে গাইবে, ছুয়ে যাবে আকাশ,
সাগর, নদীর ঢেউ,
তোমাকে বুঝবে না কেউ।
ঠিক জেনো একদিন তুমি পাখি হবে।
তুমি হবে রংধনু সাত রং।
তবু তুমি সুখি হবে।


তুমি হবে ভোরের স্নিগ্ধ অংশু,
বালিসের সখ্য মাঝে, হাজারো গবাক্ষে,
ঘুম ভাঙ্গানো চিঠি হবে।
ফুলেল অরণ্যে, বুনোফুলের গন্ধে মাতাল;
হরিণাক্ষীর চকিত দৃষ্টি;
কাননকুসুম এলিয়ে ছুটে যাবে,
তুমি হবে ছুটেচলা পথ,
তবু তুমি সুখি হবে।


তুমি হবে অভিলাষী চন্দ্রকর,
আছড়ে পড়বে সবুজ ঘাসে,
জ্বলজ্বল করবে কীর্তিনাশার জলে।
তোমার স্পর্শে যমুনার জল হবে শুদ্ধ।
তুমি হবে অবাধ অনিরুদ্ধ।
আমি জানি তুমি পায়রার ঠোটে খর হবে,
তুমি একটি আগামী হবে, হবে একটি স্বপ্নবৎ ঘর।
তবু তুমি সুখি হবে।


নয় রুপ, নয় আড়ম্বর কিংবা আয়োজন।
ভালবাসবে তারে, আছে যার প্রয়োজন।
নিজেরে পুড়ায়ে জ্বালবে আলো,
তার জীবন প্রবাহে,
যতটুকু থাকবে বিরহে,
মুছে দেবে আলতো হাতে,
অগ্নি ঝরা সুর্যময় প্রভাতে।
তবু তুমি সুখি হবে।


তুমি বৃষ্টি ভেজা শালিকের শ্যামা প্রেমিকের অপেক্ষা হবে।
চিলেরছোঁ চুরি করে নিয়ে যাবে তোমার সমস্তকিছু।
আবারো চুরি যাবে সব জেনেও,
তুমি শান্ত দিঘি হবে।
তুমি পদ্মকরে পদ্ম হয়ে ফুটে রবে।
কোন এক রাতে, জোনাকের রুপ হয়ে জ্বলে নিভে,
আঁধারকে ভালবেসে, আঁধারেই মিশে যাবে।
তবু তুমি সুখি হবে।