চতুর্থ মৃত্যুটি একটি বৃটিশ তরুণীর।
পড়ার টেবিলে পড়ে আছে যার কপাল,
ঘাড় বেয়ে নেমে এসেছে বাদামী সিল্কি চুল,
পার্পেল গালে জমাটবদ্ধ রক্তের ধারা,
মসৃণ মার্বেল টাইলসে নিথর দেহ
ভয়ার্ত বাম চোখের নীল কর্নিয়ায়-
গেঁথে আছে অর্ধেক ক্যালিফোর্নিয়া।
যার মৃত্যুর কারণ একটি সুচালো পেন্সিল।
.
খানিকটা রহস্যাবৃত; তৃতীয় মৃত্যুটি
কেউ বলছে হত্যা, কেউ বলছে আত্মহত্যা।
ডেথ সার্টিফিকেটে- অজ্ঞাত কারণে মৃত্যু,
যার হৃদয় বলতে কিছু ছিল না,
পুরোটাই নাকি আস্ত একটি শরীর।
আর যে বিছানায় এই শরীরটি থাকতো-
সেখানে পড়ে আছে কয়েকটি কুমারীর ভার্জিনিটি।
তৃতীয় লিঙ্গের এই ব্যক্তির সৎকার হয়নি।
.
দুই নাম্বার মৃত্যুটি এখনো প্রক্রিয়াধীন,
লাশের স্ফীত বুক উঠা নামা করছে,
হাত দুটি প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে,
স্বরযন্ত্রীয় নরম হাড়গুলো ভুলভাল নড়ছে।
পায়ের কাছে ডেথওয়াচ ধরে বসে আছে যমদূত,
মৃত্যুগ্রস্থ মানুষের ছটফটানি দেখেই তার আনন্দ।
.
প্রথম মৃত্যু সংঘটিত হয়েছিল খুব ভোরে
যার জুতোর ফিতেগুলো শক্ত করে বাধা,
পরণে ছাই রঙের টিশার্ট, ঘামে ভেজা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তার দেখা শেষ দৃশ্য
প্রচুর গতি নিয়ে ছুটে আসা দুটি চাকা,
শেষ ঘ্রাণ টায়ার পোড়া উটকো গন্ধ,
আর শেষ শব্দ, নিজের মাথার খুলি-
গুঁড়ো হওয়ার মটমট আওয়াজ;
এটাই ছিল তার শেষ মর্নিং ওয়াক।
লোকটিকে কেউ সনাক্ত করতে পারেনি।
।।
২২/০৯/২০১৭
আমবাগান, মগবাজার।