চুপচাপ যদি ভিজে যায় কিছু যাক,
ভোর হবার পূর্বে যদি কিছু পাখি করে কলরব_
ভেবে নেব ক্ষুধার্ত কিছু কুকুর এখনো রাস্তায় হাটে।
আকাশপথে ছোটে যদি কিছু জলধারা,
বিজলীর ইলেকট্রনে সাজে যদি অংশুমালি,
ধরে নেব চাঁদের প্রয়োজন ফুরাইবার যুগে জন্ম।
কুপি থেকে যদি কুণ্ডলী পাকিয়ে উড়ে সলতে পোড়া ধোঁয়া,
অকেজো হয়ে যায় যদি অদৃশ্য কোন ইন্দ্রিয়,
বুজে নেব ব্রেইন স্টোকের পর কিছু সেরেব্রালের মৃত্যু।
আষাঢ়-শ্রাবণ গত হবার পর যদি থেমে থেমে কাঁদে আকাশ,
বিনা মেঘে যদি বাতাস ভারী হয়ে উঠে বজ্রপাতে,
ভাববো তবে আকাশ ভেঙে মাথায় পড়ে না এযুগে।
বাগানবাড়ী থেকে যদি ভেসে আসে মিষ্টি সুগন্ধ,
জ্ঞান হবার আগেই জ্ঞান হারায় যদি কিছু শুয়োপোকা,
হিসেব কষবো সেদিন স্নান করা হয়নি কত মাস।
এরপরেও চুপচাপ যদি ভিজে যায় কিছু যাক।


বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে যদি যত্রতত্র পড়ে কিছু লাশ,
দাঁড়কাক কা কা শুনে শুনে যদি চোখে নামে ঘুম,
ভেবে নেবো চশমার কাঁচও বুড়ো হয় ঢের।
অক্সিজেন হীনতায় যদি সমুদ্রের জল হয়ে যায় বাষ্প,
একই ছিদ্রপথে যদি অবিরাম ঝরে খনিজ ধাতব,
মনে করবো ফজলীর বাগানে আম পোকার বিচরণ।
ঊর্ধ্বপানে না চাইতেই যদি নুয়ে পড়ে বাঁশবন,
সকাল বেলার রোদ্দুর যদি উঠানে খেলে যায় এক্কাদোক্কা,
ভাববো আজো কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উড়ে, তৃণার শাড়ীর আঁচল।
চক্ষু মুদিবা মাত্রই যদি আসমান ছুঁই ছুঁই করে স্বপ্ন,
ঘুম থেকে জাগিয়ে যদি কেউ মুখে পুরে দেয় ঘুমের পথ্য,
খুব বুঝে নেবো বৃষ্টির দল কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত।
সময়ের স্রোতে যদি কভু করি তিন পায়ে ভর,
ভীষণ তৃষ্ণায় উজাড় হয় যদি নারকেলের ঝাড়,
বুঝে নেবো গলায় ফাঁস নিয়ে মরেছে দেয়াল ঘড়িটা।
তারপরও চুপচাপ যদি ভিজে যায় কিছু যাক।


২০/০৮/২০১৫
কাহারু-১, মণিপুর