যেমন ধরো, খসড়া গুলি একদিন হলো বই
আমি বললাম, সেই পুরনো পাণ্ডুলিপি কই?
তুমি তখন খুঁজতে খুঁজতে সকাল দুপুর রাত
অথবা তোমার কপালেই ধরো আমার হাত,
বা অন্য কোথাও; বিছানে আমরা যখন শুই
ভালোবাসা কি অন্যকিছু নাকি অন্যকিছুই।
যেমন ধরো, প্রচুর শীতেও যে জায়গাটা গরম
তোমার দেহেই, কঠিন তবু তুলোর মতই নরম;
সেখানেও আমি অথবা ধরো কবির মত কেউ
কবিতা মানে তোমার গায়ে কি যেন এক ঢেউ,
কিংবা বাতাসে যেমন দোলে হাস্নাহেনা জুঁই
ভালোবাসা কি অন্যকিছু নাকি অন্যকিছুই।
অথবা ধরো, গোপন ঘর কিংবা শরীরের হাট
যেখানে যায় চতুর প্রেমিক, উভচর সেই মাঠ
আঁকাবাঁকা নদীর মত পথ, স্যাঁতসেঁতে মাটি
বোকা আর কিছু গর্দভের উদাসীন হাটাহাটি,
নাহ, আঁকাবাঁকা নয় ধরো তুমি উঁচু নিচুই
ভালোবাসা কি অন্যকিছু নাকি অন্যকিছুই।
যেমন ধরো, রাণীর চাবুক বা চাকরের বুক
উত্তেজিত নখের আঁচড়; তবুও মনে হয় সুখ
রোদপোড়া পিঠে ছোপছোপ রক্ত কিংবা ঘাম
রাণী হয়তো ভুলেই গেছে সেই চাকরের নাম,
প্রভুভক্ত কুকুর তবু ছোটে মালিকের পিছুই
ভালোবাসা কি অন্যকিছু নাকি অন্যকিছুই।
অথবা ধরো, বিকেলবেলা কোন এক নির্জনে
রাত নেমে আসুক, বলছিল প্রেমিক মনেমনে
প্রেমিকা শোনেনি, শুনেছিল বনের গাছেরা
ধরো নামলো রাত, হল না তাদের ঘরে ফেরা
ঘাসেই শুলো তারা, বিছানে আমরা যেমনি শুই
ভালোবাসা কি অন্যকিছু নাকি অন্যকিছুই।।


১৪/১০/২০১৭
আমবাগান, মগবাজার।