হিন্দুপাড়া ঢুকেই আমরা পাল্টে নিতাম-
স্বভাব, উদ্দেশ্য ও নিজেদের নাম।
শাওন গোপাল আর আমি হয়ে যেতাম রঞ্জিত।
তারপর আমরা ভাইকে দাদা, চাচাকে জ্যাঠা
আর খালাকে ডাকতে থাকতাম মাসি,
কোনো প্রকার হাসাহাসির চিহ্ন থাকতো না মুখে।
মাঝেমধ্যে ভুল করে ফেললে, গোপাল বলতো
অর্থাৎ শাওন আমাকে ধমক দিয়ে-
কিরে রঞ্জিত! পানি বলছিস কি রে?
বৌদিকে এক ঘটি জল দিতে বল।
আর বয়স্ক লোক দেখলে আদাব-নমস্কার।
কথায় কথায় মা কালীর দিব্যি-
অযথা যতো কথা নিজেদের মধ্যে বলতাম-
বেছে বেছে সব হিন্দুশব্দ দিয়ে।
তখন এসব হিন্দুয়ানা চর্চা করতে গিয়ে
নাম পালটে ফেলার নিছক আনন্দে
একদমই পাপবোধ হতো না আমাদের।
তার মানে এই নয়, খুব পাপবোধে ভুগছি-
এখন শুধু রঞ্জিত আর গোপালের
অর্থাৎ আমার আর শাওনের
দীর্ঘদিন ওপাড়ায় যাওয়া হয় না,
আফসোস- এই যা আরকি!