যে শহরে বাবার সামনে অপকর্ম করে ছেলে,
শিক্ষক পায় না সম্মান, গুরুর মর্যাদা রসাতলে!
যে শহরে নারীর বস্ত্র-হরণ করা হয় শত লোকের ভিড়ে।
আমি আর নেই সে শহরে।


যে শহরে বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয় বাজারের ব্যাগ,
মা'কে করা হয় দাসী, আপন ঘর করতে হয় ত্যাগ,
যে শহরে  রাতের আঁধারে নির্যাতিত হয় কাজের মেয়েটি।
আমি আর নেই সে শহরে।


যে শহরে চোখ মেললেই চোখে পড়ে নোংরামির ঝুলি,
কানে ভেসে আসে অশ্লীল বুলি,
নাক বন্ধ হয়ে আসে মাদকের গন্ধে।
আমি আর নেই সে শহরে।


যে শহরে পীরের নামে বসে ভণ্ডামির মেলা,
লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে নষ্টামির খেলা,
যে শহরে লীলাবতীদের বক্ষদেশ থাকে অনাবৃত।
আমি আর নেই সে শহরে।


যে শহরে সন্ধ্যা পেরুলেই উন্মুক্ত উদ্যানে নামে নিশি কন্যা,
রূপের পসরা সাজিয়ে চলে বেচাকেনার বন্যা,
যে শহর স্বপ্ন কেড়ে নিয়ে ঠেলে দেয় দুঃস্বপ্নের রাজ্যে।
আমি আর নেই সে শহরে।


যে শহরে কাক আর কুকুরের সাথে পথশিশু খায় গলাগলি করে,
বার্গার, নান, রোস্ট, রেজালা খায় বিলেতি কুকুরে,
যে শহরে তীব্র শীতে খালি পেটে ফুটপাতে রাত কাটায় হাজারো বুভুক্ষু।
আমি আর নেই সে শহরে।


যে শহরে আযানের ধ্বনি পৌছায় না কানে,
ধর্মান্ধরা মন্দিরে আঘাত হানে,
যে শহরে সংখ্যা লঘুরা হয় নিপীড়িত?
আমি আর নেই সে শহরে।


যে শহরে শিবির উপাধি নিয়ে মরতে হয় হিন্দুর ছেলেকে,
বাসে চড়লেই পেট্রোলবাবু তাড়া করে প্রকাশ্য দিবালোকে,
যে শহরে পথে বেরুলে থাকে না ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা।
আমি আর নেই সে শহরে।


যে শহরে অন্যায়ের প্রতিবাদে মেলে বুলেট,
চা ওয়ালা চায়ে মেশায় ঘুমের ট্যাবলেট,
যে শহরে রাজনীতির নামে চলে হিংসা আর হানাহানি।
আমি আর নেই সে শহরে।


ধিক্কার এই শহুরে অ-সভ্যতাকে!!!
তাই আমিই চলে যাচ্ছি ছেড়ে তোকে!!!
আমি আর নেই এই শহরে!!!!