বারবার আজরাইল এসে ফিরে যায়,
ভাবে ভুল ঠিকানায় তাঁর আগমন,
বক্ষের পাঁজর ভেদিয়া হৃদপিন্ডের খুব নিকটে গমন,
পরাণ খুঁজিয়া বেড়ায় দু'নয়ন,রক্তশূন্য বদনে পড়ে হরণের ছাপ।
হৃদযন্ত্র এফোঁড় ওফোঁড় করিয়া নৃত্যে তাল তুলিয়া যায়,
নৃত্যের তালে রক্ত চুয়াইয়া পড়ে সাদা পীঠিকায়,
কষ্টের তীব্রতায় ফ্যাকাসে হয়ে যায় ওষ্ঠযুগল,
দাঁতের তলে চাপা পড়ে বর্ণহীন পুষ্পের মত ফোটে জিভ।
ভাষা হারায় ক্ষণে ক্ষণে,নির্বাক চোখ খুঁজে বেড়ায় প্রিয়মুখ।
ললাটপটে মৃত্যু চুম্বনে চুম্বনে এঁকে যায় অচেনা ভুবনের চাঁদ,
বুকের রক্তে রঙিন হয়ে পশ্চিমাকাশে ঢলিয়া পড়ে জীবনের সূর্য।
অন্তিম সন্ধ্যাবেলা, প্রদীপের তেল ফুরাইয়া যায়,
চক্ষু জুড়িয়া নামে তিমির, ফের কথা হয় তাঁর সনে,
মৃত্যুর হাতে ধরা পড়ে পরাণ পাখি,
অতঃপর বন্দিদশা থেকে চিরতরে মেলে কাংখিত মুক্তি,
খাঁচা অদল বদলের পর চিরচেনা হয় অচেনা ভুবনের উমুক্ত কানন।
22/08/2015