পাগলের নাম পাগল, আয়নায় দাঁড়িয়ে পাগল
রাস্তায় উবুড় বা চিত হয়ে যারা আছে শুয়ে,
অথবা কবরে এইমাত্র যাদের আসলাম থুয়ে,
কিংবা শ্মশানে; যারা দেখতে-না লম্বা, না গোল।


আরেক পাগল অসীম, অচেনা পথে গেল অকালে
ফিরবেনা ভেবে ফিরে এলো মাথাটা কামিয়ে,
ঘাড় থেকে পাগলামির সব ভূতপ্রেত নামিয়ে,
গেলো ঠিক কখন মনে নেই; না ভোর, না সকালে।


মজনু নামের পাগল যে, প্রেমিক মজনু কিন্তু সে না,
ছিমছাম পোশাক, সুঠাম দেহ; শুধু লুঙ্গীটা বোগলে,
কাঁচাপাকা চুল-দাড়ি, দাঁতে আবার সে গুলও ডলে,
হাতের বিড়িটা চেয়েচিন্তে; না সস্তায়, না দামে কেনা।


এরপর ফেরদৌস, তজবি হাতে সে রাস্তায় কি করে
একা একা হেটে যায় আবার কথা বলে কার সাথে,
লোক দেখলে সালাম দেয়, হাত মেলায় হাতে হাতে,
শুধু কিছুতেই মন বসে না তার; না রাস্তায়, না ঘরে।


সিজেনাল পাগল হল হুমায়ূন, শত্রু তার শীতকাল
কিসের কুয়াশা কিসের শীত, ডুব মারে পুকুরে
মাথা গরম হয়ে গেলে সকাল-সন্ধ্যা রাত দুপুরে
সব ভাঙ্গে কিচ্ছু রাখেনা; না ঘরের বেড়া, না চাল।


আরো বহু পাগল দেখি, যাদের পাগল নামে ডাকে
গাড়ি-বাড়ি-নারীর পাগল আবার ভিন্ন জাতের,
প্রেমে পাগল কেউ আবার কেউ পাগল ভাতের,
পাগল নামের কেউ কী ছিল; না আছে, না থাকে?