একদিন স্বপ্ন দেখার জন্য দারুণ অস্থিরতা নিয়ে
সকাল সকাল শুয়ে যেতাম; পুরোনো বিছানা, পুরোনো স্বপ্ন।
বৃদ্ধাঙ্গুল আর তর্জনীর ফাঁকে শার্টের কলারের এক শেষপ্রান্ত
এবং তর্জনী আর মধ্যমার ফাঁকে অন্য শেষপ্রান্ত গুঁজে,
শক্তকরে চেপে ধরতেই আরামে চোখ বুজে আসতো।
তারও আগে মানে শুরুর দিকে মা’র ব্লাউজ ধরতাম,
একই কায়দায় অর্থাৎ বৃদ্ধাঙ্গুল-তর্জনী, তর্জনী-মধ্যমা।


একটা উঁচু রেল লাইন, দুইপাশে ঢাল আর ঢালময় সবুজক্ষেত।
স্বপ্নের ট্রেনটি খুব দ্রুত চলায়-
ক্ষেতের ফসলগুলিকে চিনতে পারিনি কখনওই।
ঘাস ঘাস মনে হতো, মাইলকে মাইল ঘাস! ফাঁকেফাঁকে মাইল পোস্ট।
পোস্টে জায়গার নাম পড়বার আগেই অতিক্রম করে যেত।


একটু বড় হওয়ার পর অর্থাৎ অপরিচিতরা যখন
‘তুমি’ কিংবা ‘আপনি’ ডেকে অস্বস্তি বোধ করা শুরু করেছে সবে,
আরেকটি স্বপ্ন আসতো প্রায়ই- একটি হাওয়া বেলুন নিয়ে।
ঘুম গাঢ় হতো আর বেলুনটি ধীরেধীরে বড় হতো,
গোল থেকে আরও গোলাকার; পুরোপুরি বৃত্ত হয়ে গেলে-
আমি পা দিয়ে কোলবালিশটা দূরে ঠেলে দিতাম।
তারপর বেলুন থেকে নারী, নারী থেকে প্রেমিকা হয়ে উঠলে
কোনও কোনওসময় তাকে ছুঁয়ে দিতে হাত বাড়াতাম।
এই হাত বাড়াবাড়িটা দোষের কারণ স্বরূপ চিহ্নিত করা ছিল।


সেইসব এখন আর হয় না;
এখন শুধু বিছানায় এপাশ ওপাশ করে ঘুমাবার স্বপ্ন দেখি।


।।
০৭/০৪/২০১৮
আমবাগান, মগবাজার।