কলা ভবনে একটা ক্লাশ ছিলো, ওকে
ফোনে বললাম
আসতে, কখনো
ভালো করে দেখা
হয়নি সামনা
সামনি বা পাশাপাশি বসে দুটো কথা কোনদিন।
অনিমেষ এসেছিলো,
বসেছিলো নীচে একা সুবোধ বালক
ধুসর বর্ণের প্যান্ট, সাদা হাফ সার্ট —
আঙুলের ইশারায় ডাকলাম তাকে
রোবটের মত উঠে এলো, নিলো পিছু।
সারা শরীর কেমন বিবশ নিথর হয়ে এলো—
মনে হলো চারপাশের মানুষ, রাতের
ঐ ঢাকা স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের
মতো চোখ মেলে আলো
ঢেলে দেখছে আকাশ থেকে।
ভিসির বাসার কাছে রাস্তা পার হয়ে
রিক্সা ডাকলাম,
হুড তুলে দিয়ে যেনো নিজেকে উদ্ধার করলাম
সর্বগ্রাসী চাহনির দাহ্য রশ্মি থেকে।
কন্ঠনালী যেন ছিড়ে গেলো, কোন কথা
বের হলো না মুখরা
মেয়ের এ মুখ থেকে।
কিছুই বলার কোন সুযোগ পেলোনা অনিমেষ,
বের করলো পকেট থেকে চিঠি, হাতে গুঁজে দিয়ে
বিমুঢ় দাড়িয়েছিলো।
চিঠিটা রেখেছিলাম কোন এক নোট
বুকের ভেতর
চোখের আড়াল করে ঘরে ঢুকে কোথায় যে লুকালাম!
কয়েক বছর পর বাবার বাড়িতে
বুক সেলফে একটা বই খুঁজতে খুঁজতে
মেঝের উপর
লাফিয়ে পড়লো
একটা বিবর্ণ নোট বুক।
সেই সেদিনের নোটবুক।
পাতাগুলো জন্ডিস বর্ণের
তার বুক থেকে বের হয়ে এলো একটা কাগজ
ভাঁজ করা।
আমি দাঁত দিয়ে নখ কাটছিলাম
অন্য হাতে চিঠি, সেই না খোলা, না পড়া চিঠি
এতোদিনে বিশটা বছরে।
যার শেষে লেখা—
'ভালোবাসি অনেক তোমাকে
চিঠির উত্তর দিও।
উত্তর না পেলে বুঝে নিবো।
সামনে কখনো দাড়াবো না এসে।'
চোখ থেকে কখন দু'ফোটা জল
বেয়ে পড়লো চিঠির উপর যেখানে লেখা—
'ভালোবাসি অনেক তোমাকে..