নিয়মের বেড়িতে বন্দি হয়ে  
জন্মেছি এই ভুবনে
নিয়মের ছন্দে তালে তালে বাজে
হাসি-কান্নার জোয়ার ভাটা
অতৃপ্ত বাসনা নিঃশব্দে কাঁদে
মন উছলায় দিবানিশি নিয়মের বাইরে যেতে।
ছিঁড়ে ফেলে সব বাঁধন
নিয়মের অনুশাসন  
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের তরীকে মুক্তি দিয়ে
দেখা না দেখার দূরত্ব মিলিয়ে
পাওয়া না পাওয়ার হিসেব ভুলে
আপন-পর ভুলে মায়ার বাঁধন খুলে
বৃত্তের বাইরে যেতে মন উছলায় অহর্নিশি  l
মন বলে -
চলো, এবার শূন্যে পাখা মেলি
অতৃপ্ত আত্মার হাহাকারের ঝড় তোলে
মুক্তি চাই -
মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই
সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে  
ভালো-মন্দের বিভেদ ঘুচিয়ে  
দৃশ্য-অদৃশ্যের পর্দা সরিয়ে
নিয়ম-অনিয়মের গন্ডি পেরিয়ে
বৃত্তের বাইরে যেতে মন উছলায় দিবানিশি  l
আচ্ছা ! -
নারিকেলের ভেতরের জল দেখেছ তুমি ?
কখনো শুনেছ তার নিঃশব্দ চিৎকার ?
যে জল কখনো ছোঁয়া পায়নি
নদী কিংবা সাগরের
কোনদিন অনুভব করেনি  
আকাশ হতে ঝরে পড়া বৃষ্টি কণার মুক্তির উল্লাস
সেই জল শুধু বিশুদ্ধতা আর মিষ্টতার খেতাব নিয়ে
তোমার তৃষ্ণা মেটায় যুগে যুগে
বৃত্তের ভিতরে মুক্তির উল্লাস অনুভব করতে পারেনি কোনদিন
জন্মলগ্নেই নিয়মের বাঁধন
আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধেছে জীবন
তাই তো অতৃপ্ত আত্মা নিঃশব্দে ঝড় তোলে-
বৃত্তের বেড়ি খুলে দাও
দৃশ্য-অদৃশ্যের পর্দা সরিয়ে দাও
পাখির বুলির মতো শেখানো নিয়মের বন্ধন ছিঁড়ে দাও
মুক্ত আকাশে ছড়ানো আনন্দ কুড়াতে দাও
মুক্তির উচ্ছাসে
প্রাণতসায়রে তরঙ্গ হয়ে আনন্দ বিলাতে দাও
রঙের মাঝে রঙিন হয়ে রঙ ছড়াতে দাও
আলোর সাথে আলো হতে দাও
আঁধারের সাথে আঁধার
চারিদিকে বাজাতে দাও মুক্তপ্রাণের হাসি  
তাই তো -
বৃত্তের বাইরে যেতে মন উছলায় অহর্নিশি  l