পাইন গাছের একটু ফাঁকে,
আদুরে রোদ্দুর গায়ে মেখে
মেঘপরী বললে ভুরু নাচিয়ে-
সারাটা পথই তো চললে গা বাঁচিয়ে,
এবার বাষ্প হয়ে যাও।
হঠাৎ ফুসমন্তর হয়ে তো দেখাও-


সেই সেদিন থেকে হয়ে গেলাম রূপকথা,
অচিনপুরের সেই রাজা রানীর চুপকথা।
ফিরতে আমি পারি নি সে পথে,
কুয়াশা মাখা সেই পাহাড়ের বিপরীতে।
মেঘের খোঁজে হিমালয় থেকে সমতলে,
হন্যে হয়ে মন আমার ছুটে চলে।


আজ আমি বাষ্পই থেকে গেছি,
ভাবটা এমন এই তো বেশ আছি।
দোয়েল, কোয়েল, পারুল, বকুল লিখছি নাম কত,
কেউ যে নয় ততটা প্রিয় নিলাঞ্জনার মত।
আবার যদি মেঘপরী বলে কিছু একটা হয়ে যেতে,
আমি আর বাধ্য যে নই তার কথা শুনতে।


আমি এখন আমার মত,
ঘুরে পাহাড়,সাগর প্রান্তর শত।
আজ আমি শ্রান্ত,
এই উপকথার নেই কোন অন্ত।


আমি আর ফিরব না, ফিরব না আর মেঘপরীর টানে-
কোনদিন কোনখানে;
আমি যে আজ তারই সাথে ফুসমন্তরের
গল্প এ জীবনে !!