দেশভক্তি
   ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


জীর্ণ-জঙ্গলে জীবন হারা চম্পা-চামেলি
          নব সাজে ফুটলো গো!
সুগন্ধে-স্বদেশ পরিপূর্ণতা, হয়ে একতা-
          ছুটছে হাজার জনতা,
হর্ষে তাই লুকিয়ে-লুকিয়ে কাঁদছি গো।
    বন্দী কারাদণ্ডে তমিস্রা ভূখণ্ডে
            ছুড়েছে ককটেল,
              ভেঙেছে খিল-
ছিল ভিতরে যারা, আজ বাইরে তারা,
     জ্বলছে অনল পুড়ছে নিখিল।
      তাই মন মাতিয়ে-মোহিনী হয়ে
           জয়-জয়গান গাও গো !
জীর্ণ-জঙ্গলে জীবন হারা চম্পা-চামেলি
          নব সাজে ফুটলো গো।


      দুশমন-দলের রঙ্গন-রঞ্জিত ভূষণ
              লোহিত রক্তে আজ,
          লুটিয়ে মৃত্তিকায় জীর্ণ কায়
      শোনো মারুতে-মৃত্যুর আওয়াজ।
আমরা ভাই-ভাই হাত ধরেছি রক্ত চেয়েছি,
         ওই দানবদলিত হবে গো !
    দেহ ক্ষতবিক্ষত রণক্ষেত্র রক্তে রঞ্জিত 
        তবুও মা কেন কাঁদছে গো?
এক অভিমন্যুর পরাক্রমে শত্রুরাজ গেলো থেমে
             ছল করেও হলোনা জয়,
        দ্রোণের-দ্রোহিতা হয়েছে ব্যর্থতা
        তলোয়ারের আঘাতে হলো ক্ষয়।
   যে-বীর আজ মায়ের জন্য প্রাণ দিলো
              বিশ্বজয়ী সে হলো,
   অমর হয়ে অবনীতে রইলো চিরকাল,
       প্রাতে সে-সকলের হৃদয়ে জাগে
          স্বদেশ জুড়ে সে উজ্জ্বল।


      সত্যের পূজারী সেতো মুরারি
            হয়েছে  আজ রাজা,
    এটাই তো চেয়েছিল সকল প্রজা।
  বীর হয়েছি অকূলে-অসুর ভাসিয়েছি
    এঁকেছি লোহিত রক্তে কত ছবি,
   কত হারিয়েছি স্বজন করি ক্রন্দন
তবুও আঁধার ঘোচাল অশ্রু মোছাল রবি।
   তুমিও ভুলে যাও স্বজন হারা বেদনা
           ‘এসো করি মাতৃবন্দনা
                মৃত্যুতে-মুক্তি,
      নির্ভীক পরিচয় পেয়েছ অতিশয় 
              অমর দেশ ভক্তি।
        যা খেয়ে করো জীবন ধারণ
     তা যদি করে হরণ ফাটাও বোমা,
বীরের বীরত্বব্যঞ্জক দেখে হও শত্রু নাশক
        অমর হবে তোমার মহিমা -
     আজ শিল্পী গড়ে মহাবীরের প্রতিমা।



রচনাকাল ২ জানুয়ারি  ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ,
বাংলা- ১৭ পৌষ ১৪২১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার,
দাকোপ খুলনা,বাংলাদেশ।