এসো-ভালোবেসে প্রকৃতির পূজারী হই
          ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


প্রকৃতির দানে পঙ্চভূত দ্বারা দেহ পেয়েছি, পেয়েছি সুন্দর যে
জীবন ও জনম, প্রকৃতি তার সে দান আজ ফিরিয়ে নিচ্ছে
এবং একটা সময়ে নিয়েও নেয় সকালের সবকিছু।
এটাই তো আমাদের  ‘জীবনচক্র’।


কিন্তু আজ বিশ্ব জুড়ে বাজছে মৃত্যু ধ্বনি, মহামারী কলরব।
আর পৃথিবীতে মহামারী তখনি হয়, যখনি মানুষের অপকর্ম,
কুকর্ম বৃদ্ধি পায়, নির্যাতিত হয় অসহায় নারী, এবং লোভ-
লালসায় ব্রহ্ম জ্ঞান ভুলে হিংস্র আচারনিষ্ঠায় ডুবে যায়
সকলে।


তবে আমরা বাস্তবে নিজেদের চেনার চেষ্টা কেন করি না?
সত্য এবং বাস্তব  জীবন কে অবহেলিত করে, মায়া মিশ্রিত
মিথ্যা জনম কে নিয়ে কেন এত ভাবি?
আমি ধনী-গরিব-সামর্থ্যবান-সম্মানীয় এত সব দেহের
পরিচয়ে ডুবে অহংকারী হয়ে জনম কাটিয়ে, অস্ত যাত্রায়
অন্ধকার সজ্জিত রথে বসে জীবনের অঙ্ক করলে উত্তর কি
শূন্য হয় না?


আজ যে আকাশ-বাতাস-আলো-জল-অগ্নি-মাটির সহায়তায়
আমরা বেঁচে থাকি, তা কি প্রকৃতির অংশ নয়?
কিন্তু, সে প্রকৃতিকে অবমাননায় আমরা রুষ্ট করে তুলেছি।
আজ যে বিজ্ঞানকে আমরা ভালোবাসি এবং বিশ্বাস করি,
তারাও তো এই প্রকৃতিকে গবেষণা করে এত দূর এগিয়েছে।
কিন্তু তার মানে এই নয় প্রকৃতির ক্রোধের সম্মুখে বিজ্ঞান
যুদ্ধ করতে সক্ষম।


তাই এসো ভালোবাসে প্রকৃতির পূজারী হই, এবং সম্মান ও
শ্রদ্ধা করতে শিখি নারীকে।
একদিন এক নারীর বস্ত্র হরণে  ’মহাভারত’ রচিত হয়েছিল।
আর আজ শত-শত ধর্ষিত নারীর অভিশাপে চতুর্দিকে ভয়ানক
বিধ্বংসিত এই মহামারী হচ্ছে না, এমনটা কে বলতে পারে?
তবে এটা চিরসত্য যে, যিনি সৃষ্টি করে, সেই একদিন
সবকিছুকে ধ্বংস করে নিজের মাঝে বিলীন করে নেয়।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল, ২২ মার্চ ২০২০ সাল,
বাংলা, ৮ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, রবিবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।