বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ
   ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


বাবা-মায়ের আদরের ছিল একটি মাত্র পুত্র,
সকলে তাকে ডাকত বাবু রতন মিত্র।
দেখতে অপূর্ব, সুদর্শন, একেবারে রাজকুমার,
মুগ্ধ মনে সকলে বলে এরকম ছেলে হয় না আর।
যদিও অভাবের সংসার, তবু নয়নমণি!
কোনদিন তারে কখনো কষ্ট দেয়নি।
নিজেরা না খেয়ে খাদ্য তুলে দিয়েছে তার গালে,
সন্তানের হাসিতে সকল দুঃখ যায় তারা ভুলে।
যেখানে'ই যায় করে অগভীর প্রশংসা,
আমার ছেলে আমার বেঁচে থাকার আশা।


বড়ো তাকে হতে হবে, হতে হবে পণ্ডিত-শিক্ষিত,
রক্ত বিক্রি করে পাঠিয়েছে শহরে,আরো ঋণী কত।
জমিজমা-সম্পদ সব শেষ, শেষ মায়ের অলংকার,
এখন অপেক্ষা আসবে ফিরে খোকা,হয়েছে সে ডাক্তার।
তবু কেন জানি আসে না ফিরে, ‘বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ’!
শুনেছি সে বিবাহ করেছে, দেশ জুড়ে সারে কত রোগ।
আনন্দে আঁখি-তে অশ্রু আসে ছেলে আমার ডাক্তার,
ধনীর দুলালী নাম নাকি পুতলি, পুত্রবধূ-ও সে আমার।
তবু তারা এলো না আর ফিরে আকুল অন্তর কেঁদে মরে,
আজ অনাহারে রোগে--আছি দুজনে পড়ে ভাঙা বদ্ধ ঘরে।


✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ সাল,
বাংলা- ১৩ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।