বিজ্ঞান ও ঈশ্বর
        ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


আজ আমরা অনেক পরিবর্তন,পরিবর্তন আমাদের সমাজ-
সভ্যতা-দেশ-বিবেক-জ্ঞান ও মন ভাব।
আর এই পরিবর্তন কেই বলা হয় আধুনিকতা।


যদিও আধুনিকতা আসে পুরাতন নিয়ম নীতি ভুলে
বিজ্ঞান কে আঁকড়ে ধরে, বা বিজ্ঞানের প্রতি অনন্ত
বিশ্বাসের সূত্র ধরে।
আর এই বিজ্ঞানের প্রতি বিশ্বাস রাখা মানে মানুষকে
ভালোবাসা, মানুষ বা জীবের চিন্তা-শক্তিকে শ্রদ্ধা করা,
এবং বড়ো করে দেখা।


আর পৃথিবীর সকল জীবের ভিতরে বিজ্ঞানের নিজস্ব
একটা গবেষণা কেন্দ্র আছে।
যেখানে ভালো-মন্দ এবং কঠিন কে সহজ করে
যে কোন  পরিস্থিতিতে বস-বাসের উত্তম চিন্তা শক্তি
অর্জন করা হয়।
এবং এই ভাবেই বছর পর বছর পেরিয়ে, একে অন্যের
ভাবনা কে কাজে লাগিয়ে, আজ আমরা সুবিধা জনক
একটা পৃথিবীতে বসবাস করছি।


যদিও তার ফলে আমরা পৃথিবীর অনেক কিছু হারিয়ে
ফেলেছি, এবং অবহেলা করি প্রকৃতি কে।
কিন্তু এই প্রকৃতিই যে বিজ্ঞানের মূল মন্ত্র,
তা আমরা আজ অচেতনতায় অবিশ্বাস করি।
যার ফলে প্রলয়ের প্রারম্ভ দেখা দিচ্ছে সম্মুখে প্রতিনিয়ত।


তবে এবার কি হবে? মোকাবেলা তো সকলকেই করতে হবে।
যদিও এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মানতে পারছিনা।
কেননা  পিছনে ফেলে আশা বৃহৎ সময়ে আমরা জীবনকে
চিনতে ভুলে গিয়েছি, ভুলে গিয়েছি বাস্তবতা, এবং জানতে
চাইনি কখনো আমি কে?
আর আমার কেন সৃষ্টি হলো, কর্মই কি?
এমনকি আমরা জন্ম এবং মৃত্যুর মতো সত্যকে এড়িয়ে
চলতে শিখেছি ,বিশ্বাস করি না আর সৃষ্টি কর্তাকে।
কেননা আমাদের ভিতর ভক্তি-প্রেম-সাধনা-সমর্পণ
আর নেই।


তবে কি আধুনিকতা দিয়ে সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব?
সম্ভব কি জন্ম এবং মৃত্যু থেকে এড়িয়ে চলা?
জীবনের তো একটাই লক্ষ কালকে আলিঙ্গন করা,
সে আধুনিকতা বা বিজ্ঞানে বসবাস করে না।
আসলে বিজ্ঞান জীবনকে আরাম ব্যবস্থাপনা করে দিয়েছে
স্বল্প সময়ের জন্য, যাকে কেবল মায়া এবং মোহ মিশ্রিত
জনম বলা হয়।


তাই যাত্রা কালে সুখ প্রাপ্তের আশা যত কম থাকে
ততই যাত্রা শুভকর হয়।
নিজেকে আগে বিশ্বাস করতে হবে এবং চিনতে হবে,
মনে রাখতে হবে নিষ্কাম কর্ম ও পথ নির্ণয়ের সত্য-সঠিক
জ্ঞানই হলো বিজ্ঞান ও ঈশ্বর।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল, ২৭ মার্চ ২০২০ সাল,
বাংলা-১৩ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।