বিশ্বাসভঙ্গ
✍- উজ্জ্বল সরদার আর্য


যখন তুমি আমার সহিত করতে প্রেমের খেলা
তখন ব্যাকুল হয়ে থাকতে পথ চেয়ে
আসবে কখন বসন্তের গোধূলি বেলা।
ফুটবে পলাশ, ফুটবে কৃষ্ণচূড়া,
রঙিন হবে এই ভুবন!
ঝরা পাতা মাড়িয়ে পায়ে পা মিলিয়ে
হারিয়ে যেতাম আমরা দুজন।


সাজিয়ে গল্পগুচ্ছ দেখতাম ময়ূরপুচ্ছ
সুখ-স্বর্গের সিঁড়িতে বসে,
ফুল বিছানো থাকতো চারিদিক
গান শোনাত পিক -
সমক্ষে পুষ্করিণী পুষ্করে নীলপদ্ম ছিল ফুটে
মধ্যভাগে হংস থাকতো ভেসে।


সুগন্ধ মিশ্রিত দক্ষিণা বাতাসে
তুলেছিল প্রেম পূর্ণ প্রাণে শিহরণ,
ওই কাজল কালো চোখে চোখ রেখে
করেছি কত কবিতা অন্বেষণ।
যতবার তুমি আমায় ছুঁয়েছিলে
কেঁপে উঠেছিল হৃদয়
আজ সে শতদল ঝরে গেলো অকালে
অন্তরে আঁধার নেমেছে বিরহ বেদনায়।


একদিন রজনী জেগে স্বপ্ন দেখতে
শুধু আমায় নিয়ে
ডেকে বলতে কবে কখন করবে আপন
মালা গেঁথেছি তোমার জন্য ফুল কুড়িয়ে।
নির্জন স্মৃতিবিজড়িত এই পথে
আসি আজ অশ্রু গেঁথে
তোমায় খুঁজে পেতে
ওগো কেন গেলে চলে আমায় ভুলে
নিঃসঙ্গ জীবনের গল্প কে শুনবে এই তমিস্র রাতে?


যেদিন সকলের নয়ন আড়াল করে
দাঁড়িয়ে থাকতে অধর ছুঁয়ে
সেদিন তোমার হৃদয় মাঝে ভয় ছিল না,
লজ্জা ছিল না, ছিলাম শুধু আমি!
কনিষ্ঠ ধরে নির্ভীক হয়ে পথ চলতে
আর বলতে আমার ভালোবাসা ওগো তুমি।


আজ সে প্রেমের তরি ডুবে গেছে
অতল সাগরে,
কূল হারা কাণ্ডারি আমি কোথায় পাবো তারে?
ভালোবেসে কাছে এসে যদি কেউ দূরে সরে যায়
অন্তরের বিশ্বাসভঙ্গ হয় তবু যায় না গো ভোলা,
তাই তো আজও খুঁজি ভালোকিছু সে পেয়েছে বুঝি
ওরা অনন্ত যৌবনা করে শুধু বসন্ত বন্দনা
ফুল হয়ে ফুটতে চায় চিরকাল অটবিলতায়
অবহেলিত অন্তরে থাকে দহন দগ্ধ জ্বালা।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ৯ মার্চ ২০২১ খ্রিস্টাব্দ,
বাংলা ২৪ ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ,মঙ্গলবার।
দাকোপ খুলনা,বাংলাদেশ।