দ্বন্দ্বের-দুর্ভোগ
  ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


     আজ কোটি-কোটি বীর যোদ্ধার
            বুকের লোহিত রক্তে,
আমার মায়ের ছেঁড়া আঁচল রক্তাক্ত-রঞ্জিত।
       তবে কোথায় সেই সহানুভূতি-
            সান্তনা দেবার দল?
      চলে এসো--চলে এসো সম্মুখে
চেয়ে দেখো আঁখি মেলে এই অভাগীর দিকে
              এতবার তাকিয়ে,
   আজ আমিও শুনতে চাই কোন ভাষায়
     এবং কি বলে তাকে সান্ত্বনা দেবে।


  ক্ষতবিক্ষত বুক ব্যথায় হাহাকার করছে,
         শত-সন্তানের অকাল মৃত্যু
                বিহ্বল করেছে -
     অঝোরে অশ্রু ঝরছে তার আঁখিতে।
দিন রাত হানাহানি, হরতাল, যুদ্ধ, মহা-সংগ্রামে
     নিরীহ জনতার প্রাণ হারা চিৎকার
         তাকে নিস্তব্ধ করে দিয়েছে।
আজ বাতাসে কেবল মৃত দেহের পচা দুর্গন্ধ,
    যেদিকে চোখ যায় কেবল শত-শত
          মৃত দেহের স্তূপ দেখা যায়।
এই বুকে এখন কাক, চিল, শিয়াল, কুকুরের
                হয়েছে বসবাস
  স্বজন হারা জয়ী-যোদ্ধা পথের পান্থ আজ!
     আজ নেই কোন খাদ্য,বস্ত্র, বাসস্থান,
              নেই চিকিৎসালয়।


         তোমরা বলো--এবার বলো,
মায়ের দুঃখ মোচন করতে রণকান্ত-রাগান্বিত
          হয়ে উঠবে আজ কোথায়?
বোমা, বন্দুকের গুলিতে শত্রুকে নৃশংস হত্যা
                    করা যায়,
         কিন্তু যুদ্ধের এ-কি পরিণাম?
              দুর্ভিক্ষ মাথায় নিয়ে
    পরাজিত কবি মাকে জানালো বিদায়।


রচনাকাল  ৯  জুন ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ
বাংলা ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ,শনিবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।