জাগো হে নবীন
✍- উজ্জ্বল সরদার আর্য


ওগো নবীন, তুমি কি ক্ষীণ? ঋণী আমাদের কাছে!
দেহ-প্রাণ ক্ষয়ে জন্ম দিয়ে, আশা নিয়ে বাঁচি মিছে।
আজ আমরা সর্বহারা, হয়েছি দেশ-দেশান্তর!
শত্রু'র আঘাতে মরছি দিনে-রাতে,জাগো এবার।
আর কত দিন থাকবো পরাধীন,শুধু শোষণ সয়েছি!
দারিদ্রের দরিয়ায় ভেসে যাই, তাই তোমায় ডেকেছি।


ভিতু-অলসে অন্তরাল আবাসে, তুমি নিদ্রা রত-
বেলা চলে যায় কাঁদছি কিনারায়,আমরা হচ্ছি হত।
ওরা জ্বালায় শ্মশান খুঁড়ছে কত কবর-গোরস্থান,
আমি লাশের স্তূপে শুয়ে আছি পথ চেয়ে করি আহ্বান।
জোয়ান যত ছিল ওরা মিছিলে গেল, তুমি যাবে কবে?
নিশুতি রাতে মাটি রাঙাতে রক্তে, বীর হতে হবে।


নবীন বয়সে বৃদ্ধ বেসে রেখেছ মনে মায়া কান্না,
মরণ ভয়ে আছো লুকিয়ে করছো কত বাহানা।
ওরে এবার ছুটে চলো সময় হলো জয়ের স্বপ্ন দেখা,
মা-মর্দিত লজ্জিত আজও হলোনা তার নাম রক্তে লেখা।
তাই ওঠো হে-নবীন জেগে গীত গাও ভৈরবী রাগে,
সূর্য ডুবেছে আঁধার নেমেছে তুমি এসো দেশ অনুরাগে।


বীর হয়ে শত্রু দলিয়ে শৃঙ্গী হয়ে দাঁড়াও রণে,
আমি ধর্ষিত নারী অকালে মরি ঘুরছি বনে-বনে।
আজ লজ্জায় মুখ ঢেকেছি ঘোমটায় করি আত্মহত্যা,
জাগো হে নবীন এসেছে দুর্দিন হও একতা।
মিথ্যা বিচারে অসহায় মরে ক্ষুদিরামের হলো ফাঁসি,
অপরাধী যারা মরবে তারা কেড়ে নাও তুমি ওদের হাসি।


রক্ত লাগলে-রক্ত দাও সংগ্রামী হও স্বাধীন গানে,
রাঙিয়ে মায়ের চরণ করো দানব-দলন ওই রণে।
যত অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল ভাঙতে হবে, লড়তে হবে,
ভেঙে দ্বার এসো বাইরে এবার,মহা সংগ্রাম হবে।
যুদ্ধ হবে মরবে না হয় মারবে, বলি দানে বীর বাঁচে!
তবে নির্বীজ হয়ে মুখ লুকিয়ে তোমরা যেওনা অকালে পচে।



রচনাকাল ইং-১২অক্টোবর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ
বাংলা- ২৭ আশ্বিন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ.. (শনিবার )
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ