জাগ্রত হও হে বীরাঙ্গনা
   ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


হে-শক্তি প্রকৃতি বীরাঙ্গনা,
আর কত সহ্য করবে অপবাদ- গঞ্জনা?
লাঞ্ছনা বুকে ব্যথা জাগে,
জাগো-ওগো তুমি!
ওই রুদ্রাণী রূপ দেখতে চাই,
তিলেতিলে ক্ষয়ে অকালে নিওনা বিদায়-
আদি অক্ষয় তেজস্বিনী নাশ করো নাশিনী
হও সংগ্রামী।


কাল সরূপা কালি হয়েছে আজ যেন পুতলি,
অবহেলিত গৃহ-মন্দিরে!
আজ সে বিশ্ব শাসিতা নয় অন্তরালে অবগুণ্ঠিত লজ্জায়,
ভয় প্রাণ জুড়ে তার বসবাস করে।
একদিন ছিলে রক্তপিপাসু,
করেছিলে রক্ত বীজের রক্ত পান!
শক্তি-সামর্থ্য-জ্যোতি হারিয়ে এনেছ দুর্গতি,
পরাজিত-নত-ক্ষত হয়ে দিচ্ছ কেবল আত্মবলিদান।


বিজয়ের গান বাজে না আর চূর্ণ-বিচূর্ণ সংসার,
শাসিত সমাজ তোমাকে ভেবেছে দুর্বল!
তুমি নাকি মনোরঞ্জন কারি নর্তকী-দাসী-উর্বশী,
বধূ-বিধবার দীর্ঘশ্বাসে কাটছে জীবনকাল।
আজ হয়েছো কলঙ্কিনী-ধর্ষিতা করছি আদিখ্যেতা,
সমালোচনা-অবমাননা জুড়ে শুধু তুমি!
ওরে কত করবে আর আত্মহত্যা হাসছে আজ বিধাতা,
লজ্জিত-নত-হইও-না লুপ্ত, জীবন অনেক দামী।


তাই জাগো,হও বীরাঙ্গনা-দূরীভূত হক সকল বেদনা
দূতি-দুর্গা শক্তি সরূপা তুমি নারী,
হাতে নাও তরবারি-
বাজছে আজ যুদ্ধের বাজনা।
আসুরিক শক্তি আছে যত হবে বিধ্বংসিত,
রক্তে লেখা হবে অলিখিত ইতিহাসের পাতা!
তুমি অগ্নিশিখা-- রুষ্ট দাবানল,
গতি তোমার তীব্র প্রবল-
যখনি জেগেছ ভয়ে কম্পিত হয়েছে-ও বিধাতা।


রচনাকাল, ২৭ নভেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ,
বাংলা- ১১ অগ্রহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ,শুক্রবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।