জ্ঞানের বীণা বাজুক ভুবনে
     ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


বিশ্ব সংসার বা সমাজ সংস্কারে কেউ যদি
প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়,
তবে তার দ্বারা উভয়ের লাভ হয়।
যশ-খ্যাতি-সম্মান-অমরত্ব প্রাপ্তি যেমন হয়,
তেমনি সুখ-শান্তি-ঐশ্বর্য প্রদান করতে পারে
সে প্রত্যেকের।


কিন্তু কর্ম-আচরণ-স্বভাব বা কিছু করার প্রচেষ্টা
মানুষের চিন্তা শক্তির উপর নির্ভর করে,
আর চিন্তা সর্বদা আত্মা বা আত্মা থেকে জন্ম নেওয়া
বুদ্ধির উপর নির্ভর করে থাকে।


তাই যার আত্মা শুদ্ধ, এবং অন্তরে নির্মল ভাবনা প্রতিষ্ঠিত,
সেই একমাত্র ধর্ম-প্রেম-ন্যায়-সত্যকে করতে পারে
জগতের বুকে প্রতিষ্ঠা এবং প্রাপ্তি করে প্রশংসা।
কর্মের ফল ত্যাগ তো সে করেই,বরং সকল বন্ধন থেকে
মুক্ত হওয়ার পথ সে স্বয়ং নির্ধারণ করতে পারে।


কিন্তু আমরা আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গী পরিবর্তন তো করি না,
এমনকি স্বভাব-আচরণ পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা করতে
ভুলে গিয়েছি।
লোভ-লালসা আশা-আকাঙ্ক্ষা কে অন্তরে এতটাই স্থান
দিয়েছি যে,
কুকর্ম-অধর্ম-অন্যায়ের পথেই শুধু অগ্রসর হই।


আর এভাবেই দিনদিন শাসন-শোষণ-অন্যায় কে ঘিরে
বেড়ে উঠছে মানুষ।
ক্ষমতা-রাজত্ব-সম্পত্তি এখন সব অধর্মীদের আয়ত্তাধীন।
তাই দিনের আলো আজ প্রতিহত হচ্ছে,
অকালে অত্যাচারে অসহায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে,
কলঙ্কিত হচ্ছে নারী,
অগণিত অপহরণ-ধর্ষণ-খুন হচ্ছে জনসম্মুখে।
রক্তের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে ধরণী,
ক্ষুধা-দরিদ্রতা হয়েছে চিরসঙ্গী অসহায় মানুষের।


এখন রাতদিন শুধু কান্নার ধ্বনি বাতাসে শুনি,
সমালোচনা কু-বাক্য এবং অহংকারীরা সম্পদ ছিনিয়ে
গড়ছে কোটি-কোটি টাকার পাষাণ স্তূপ।
তাই প্রতিহত করতে হবে অন্যায়ের,
দুরাচারী-অধর্মীদের দিতে হবে দণ্ড,
করতে হবে ন্যায় বিচার।
মনে রাখতে হবে যখন অন্যায়-অধর্ম সকল সীমা
লঙ্ঘন করে,
তখন সাধারণ মানুষের শুধু পীড়াই প্রাপ্তি হয় না,
অপমান-লাঞ্ছনা-মৃত্যুও হয়।


আর এমন মুহূর্তে ন্যায়ের যুদ্ধ করা আমাদের প্রত্যেকের
কর্তব্য। পৃথিবীর সুখের জন্য যদি বলিদান দিতেই হয়,
তবে হাসি মুখে সে বলিদান দেওয়া উচিত।
তাই মায়া-মোহ এবং নিজ সুখের কথা ভুলে,
আজ আরো একবার ইতিহাসের সাক্ষী হতে
ন্যায়ের নব যুদ্ধ, আত্ম বলিদান, এবং রুক্ষ-তৃষিত রক্ত
পিপাসিত রঞ্জিত রণক্ষেত্রে তোলো রুদ্র তাণ্ডব।


✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল, ৭ অক্টোবর ২০২০ সাল,
বাংলা- ২১ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, বুধবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।