জয় হোক মানবতার
         ✍- উজ্জ্বল সরদার আর্য


    বিশ্ব জুড়ে যখন মহামারী চলে মৃত্যু ভয়ে
    কেঁপে ওঠে সকল হৃদয়,
    গুমরে-গুমরে কাঁদে স্বজন হারা পৃথিবী।
    চতুর্দিকে শুধু লাশ, আর বিষাক্ত পচা গন্ধ
    ঝড় তোলে প্রাণে!
    একসময় গণকবরে ছেয়ে যায় ধরণী,
    জ্বলতে থাকে চারিদিকে শ্মশান
    সদা সর্বদার জন্য।
    সেই সাথে খাদ্য,বস্ত্র,চিকিৎসার অভাবে
    আর্তনাদ চিৎকার করে সকলে প্রাণ-পিপাসায়!
    সময়ের অন্তিমে হয়ে ওঠে মানব শূন্য পৃথিবী।


    তবুও মহামারী অনেক শিক্ষার বিষয়বস্তু নিয়ে
    আসে মানবকুলে।
    প্রত্যেকের  বিবেক এবং সাবধানতা জাগিয়ে তোলে,
    জাগিয়ে তোলে সমাজ-দেশ ও জীবন কে।
    ধর্ম অন্ধ এবং ধর্ম ও জাতি কে রাজনৈতিক
    পটভূমিতে দাঁড় করিয়ে,
    দল প্রাধান্য দিয়ে মানুষে-মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ,
    কলহ, হত্যার মত জঘন্য বিষয় ভুলে মানবধর্ম কে
    বড়ো করে দেখা এবং
    হৃদয়ে প্রেম, করুণা, সমর্পণ ও ত্যাগী হওয়ার
    মানসিকতা সৃষ্টি করে।


   এবং সেই সাথে প্রকাশক হিসেবে প্রকাশ করে
   সমাজের মুখোশ ধারি ভদ্রতা।
   এ ছাড়াও প্রকৃত সৎ-সত্য ও মানব ধর্মী নিষ্ঠাবান্‌‌
   মানসিকতা-মানুষদের পরিচয় করিয়ে দেয়
   প্রত্যেক অন্তরে।
   আজ এই দুর্ভিক্ষ সময়ে দেশ তাকিয়ে আছে
   পরোপকারীর দিকে।
   কে কতটা মানুষ ভালোবাসে,
   কে কতটা ভালোবাসে মাতৃতুল্য স্বদেশকে?


   বিধানসভা থেকে শুরু করে গ্রামে, গঞ্জে, শহরে,
   ছোটো বড়ো সকল জনসভায় যে সকল শিল্পপতি
   এবং দলিও নেতা-নেত্রী নিজেদের পরোপকারী কথা
   বলে ভালোবাসা সরূপ খোঁজে হাত তালি,
   আজ নিরীহ-পীড়িত-সাধারণ জনগণের জন্য
   তারা কি করছে?
   এতদিন  যাদের আত্মত্যাগ এবং ভালোবাসায়
   কোটি-কোটি টাকার পাষাণ স্তূপ গড়ে
   হয়ে উঠেছ শিল্প পতি,
   এবং সম্পদশালী নেতা-নেত্রী ও সমাজের
   বিশিষ্ট ধনী মানুষ!
   আজ তোমরা আমাদের কে কত টুক ভালোবাসা
   দান করছো,
   তা মহামারী ইতিহাসে লেখা থাকবে।
   যদিও জানি, কেবল নিতে শিখেছে দিতে নয়।



রচনাকাল, ২৫ মার্চ ২০২০ খ্রিস্টাব্দ,
বাংলা ১১ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, বুধবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।