অবলার কান্না
     ✍-উজ্জ্বল সরদার  আর্য


প্রহর শেষে প্রাতঃকালে প্রাচীন প্রাচীতে পশিল পুষা, 
     প্রভায় পৃথিবী পুলকিত এলো বসন্ত সহসা।
                কাননে কুসুম ফুটেছে কত
                    সুগন্ধে প্রাণ বিচলিত,
তবুও আবিরে রঞ্জিত পথে তোমার হয়না গো দেখা!
         অন্তরালে আর থেকো না হে চিরো সখা।
            আঁখির অশ্রুতে তোমার চরণ রাঙাতে
                       লুণ্ঠিত হই ধূলায়,
                 তুমি যেওনা চলে আমায় ভুলে
     মিনতি করি’ চরণ ধরি’ দিও-না আমারে বিদায়।
    
        জীবন হবে গো বিফল সংসার হলো অচল,
                অবলা-অনাথের নাথ তুমি হে--!
                   ওগো ছেড়ো না আমারে
               চরণ-চিহ্ন আঁচলে রেখেছি ধরে,
     ললাটের সিন্দূর দলিয়ে নিও না চরণ সরিয়ে হে--!
              করেছো গৃহ ছাড়া, পরিচয় হারা,
      লাঞ্ছিত-বঞ্চিত বুকে ব্যথা জাগে বিরহ শোঁকে
       আমি প্রেয়সী আজ পথবাসী-প্রেম হলো সারা।
      বৈধব্য বেশে রিক্ত আবাসে, আমি বন ফুল গো!
             প্রতিক্ষণে যাই ঝরে স্মৃতি মনে করে,
                     তোমার সাধনে মরি গো।


            সংসার কাননে নির্ভয় নির্ভর নির্জনে
                      স্বজন শুধু তুমি ছিলে,
        তবুও গেলে চলে-- নব রঙ্গন রূপে বিমোহিত!
       হাত ছেড়ে হাত ধরা আর হত্যা করা সম-সম,
            তবু তোমারে করি আজও নমঃ-নমঃ,
         যাতনা সয়েছি আরো সয়ে যাই শত-শত ।
                আজ আমি না জীবিত না মৃত,
           দুর্ভগা অন্তর আমার-উপলব্ধি হারিয়ে
                   ডুবেছে দুঃখের দরিয়ায়!
       এখন আশা ভরসা ছেড়ে নিরব নির্জন নীড়ে
              আছি শেষ নিঃশ্বাসের অপেক্ষায়।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ইং-১১ আগস্ট ২০১৯ সাল
বাংলা ২৫ সে শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ (রবিবার)
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।