অনুতাপী
উজ্জ্বল সরদার (আর্য)
" " " " " " " " " " " " " " " " " "
চলছে গহিন গম্ভীর নিস্তব্ধ রাত, আর যখনি
সকলে ঘুমে জর্জরিত , তখনি আমার জাগ্রত জীবন
বিরহের কাতরতা ক্রন্দন রুদ্ধশ্বাসে ছটফট করছে।
চাচ্ছে নিকোটিন মিশ্রিত সাদা ধোয়া.....
আর মনে পড়ছে, জীবনের ফেলে আশা
অতীত স্মৃতি গুলি, কষ্ট ও হচ্ছে- হচ্ছে সুখের
অনুভব।
আর তাই'তো বড্ড যানতে ইচ্ছা করছে, তুমি
কেমন আছো? কত দূরে আছো?
সে'দিনের সে কাথা গুলি কি এখনো মনে
রেখেছো নন্দিনী? ভালোবেসে দুজনে
পথচলতে চলতে সহসা একদিন তোমাকে কাছে না
পেয়ে জ্ঞান শূন্য হয়ে অভিমানে অগোছালো
শব্দ চয়ন করে ছিলাম? আর তাতে তুমি কত না কষ্ট
পেয়েছিলে , কাঁদতে কাঁদতে রেগে রুদ্রাণী
হয়ে
জ্ঞানের পাণ্ডুলিপি পাঠ করে শোনাচ্ছিলে।
আমি অবাক হতবাক হয়ে তোমার দিকে কেবল
চেয়ে ছিলাম, আর শুনছিলাম তোমার রাগান্বিত বাক্য
চয়ন।
সত্যি বিশ্বাস কর , আমি কখনো কল্পনাও করেনি
যে তুমি একে কেন্দ্রকরে এতটা বিচলিত হবে।
তারপর তোমার হৃদয়ে জন্মনিল অভিমান, হয়ে উঠলাম
অবহেলিত অবিলম্বে।
অপমানিত, লজ্জিত-নতো হয়ে, অভিপ্রায় হতে
বলতে লাগলাম এমন বাক্য কি করে আমার মুখে
উদারিত হলো?
ছিঃ কত মলিন মনের মানুষ আমি?
আমি না হৃদয়ের থেকেও ভালোবাসি? এ'আমার
কেমন ভালোবাসা?
নিজের তৃষাকে আলিঙ্গন করে অপরকে কলঙ্কিত
করার অকুতোভয়তা কি করে হলো আমার?
তাই তো অশ্রুঝরাতে ঝরাতে ঝরা ফুলের মত
লুটিয়ে পড়েছিলাম তোমার চরণে , অপরাধ
স্বীকার করে ক্ষমা প্রাপ্তির প্রার্থনায়।
তবুও তুমি ক্ষমা করনি, পতিত পুষ্প'কে পদপিষ্ট করে
চলে গেলে অন্তরালে।
তারপর থেকে এক একটা দিন হয়ে উঠেছে আমার
কাছে দু'একটা যুগের মত।
আজ পান্থ বেশে ঘুরছি পথে -পথে,
আর তোমার নাম যপে যাচ্ছি।
কিন্তু, দিনেদিনে বিরহ যাতনা যমহয়ে মৃত্যুর
মুখোমুখি করেছে আজ আমাকে,
আর তাইতো ঝর্ণার ধারায় ঝরে পড়ে চিৎকার করে
পাহাড়কে বলে যেতে ইচ্ছা করছে , আমি আজ
মুক্ত, আমি আজ মুক্ত।
তবে ফুলকে যত'ই পদপিষ্ট করা হয়, তত'ই সুগন্ধ
বিকাশিত করে বিশ্বে। আজ এ'কথা শত- শতবার
বলতে ইচ্ছা করছে । কেননা, তুমি কেবল আমার
বিরহের মূল কারণ নও,আমার জীবনের সবচেয়ে
বড়ো অধ্যায় তুমি,তুমি জীবন কে চিনতে
শিখিয়েছ, দেখিয়েছ দিগন্তের আলো,
করেছো নতুন পথের নির্ভীক যাত্রী ।
আর তাই'তো শিল্পী হয়ে পাথরকে ক্ষতবিক্ষত
করে গড়েছি তোমার অবিকল অনুকৃতি , প্রতি
প্রভাতে মালিনী হয়ে ফুল কুড়িয়ে মালা গেঁথে
পরিয়ে দেই গলে, আর ফিরে আশার অপেক্ষায়
অশ্রুঝরাতে ঝরাতে প্রহর গুনি, অনুশোচনায় করি
তোমার চরণে আত্মনিবেদন।
//
উজ্জ্বল সরদার (আর্য)
দাকোপ খুলনা