প্রেমের আবির্ভাব
      ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


দিবস যৌবন হারিয়ে করেছে প্রবীণে-পদচারণ,
পশ্চিম দিগন্তে সূর্য অস্তমিত প্রায়-চেয়েছে বিদায়।
গম্ভীর হচ্ছে উদাসীন মন, নির্জনতা-শূন্যতা করছে
আলিঙ্গন, বসে-বসে করছি জীবনের শেষ অনুভব।


ঠিক তখনি তুমি এলে অন্তরীক্ষ গোধূলির রঙে রাঙিয়ে,  
চুপিচুপি দুয়ার খুলে আমার অন্তরে করলে প্রবেশ।
বিকেলের বিষন্নতা সরিয়ে গোধূলির প্রারম্ভে
তুমিই জ্বেলেছ সৌন্দর্যের দীপ,
হয়েছে প্রেমের আবির্ভাব আমার নির্জন-নিভৃত
বেদনাবিধুর মনে।


এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছি, অন্তরের অন্তিম চিন্তার
হয়েছে অবসান!
ভুলে গিয়েছি সন্ধ্যাকে স্বাগত জানাতে।
অস্তমিত রেখায় জমে থাকে যে অভ্র-অশ্রুজল,
তোমার আগমনে আজ প্রফুল্লতায় সুগন্ধ বিকাশিত করে
পুষ্প ঝরে পড়ছে ধরণীর বুকে।


সহসা ফাগুনের রঙে প্লাবিত হলো পৃথিবী,
ঝরে পড়ছে রং সুখে নদীর স্বচ্ছ জলে।
মৃদুল হওয়ায় রঙিন মৃদু ঢেউ আজ ডেকেছে কাছে,
জেগেছে প্রাণে প্রেম, কাছে এসেছে প্রেয়সী -
ভালোবেসেছে।


তাই সকল দুঃখ পাছে ফেলে, মুগ্ধচিত্তে তাকিয়ে আছি
তার কাজল কালো চোখে,
খুঁজছি নারীর হৃদয়ের অতুল রহস্য।
ওগো তুমি যে আমার প্রেরণা, আত্ম প্রশান্তির মহামন্ত্র।
আমি আকাশ-বাতাস-পাহাড়-চন্দ্র-সূর্যের দেখেছি সৌন্দর্য,
তবু তারাও হেরে যায় তোমার তেজস্বী রূপের  কাছে।


আজ এই গোধূলি বেলায় তোমার হাত ধরে,
পায়ে-পা মিলিয়ে, হেঁটে যেতে চাই গন্তব্যহীন পথে।
দেবী রূপে মুগ্ধ হয়ে সাহিত্যের রসায়নে ডুবে
করতে চাই কবিতার খোঁজ,
স্মৃতির পাণ্ডুলিপিতে লিখে রাখতে চাই এই মাহেন্দ্রক্ষণ।


কখনো নূপুর হয়ে বাজবো তোমার চরণে,
কখনো চন্দ্রিমার আলোয় স্নাত হবো দুজনে,
জড়িয়ে অধর ছুঁয়ে অন্তরে তুলবো শিহরন।
আজ দৃষ্টিগোচর নন্দনকাননে রেখে,
অজস্র চুম্বন একে দিয়েছি  তোমার অবয়বে।
তুমি আছো অন্তরে, থাকবে জীবন সাথী হয়ে আজীবন,  
গড়বো দুজনে সুখের স্বর্গ।


✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ৪ ডিসেম্বর ২০২০ সাল,
বাংলা - ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।