দীর্ঘ দিবস শ্রান্তিহীন হৃদয়ে সকলকে নিয়ে মুক্ত
নভেঃ দিয়েছিলে দ্বিজ হয়ে ডানা মেলে,
রজনীতে ঐ' ভিনদেশী চিল এসেছে,  
তোমায় শিকার করতে।
তাই'তো, চারিদিক ধর্মঘট , হর্তাল, অবরোধ, মিছিল,
সর্বভূক বোমায় বিদ্রোহ ঘটছে,
অরুণ ক্লান্ত হয়েছে  ,
তমিস্রা মোদের ঘিরে ধরেছে।
তবুও, এই দুর্ভগা সময়ে, ক্ষীপ্ত সমীরে, হে
প্রিয় স্বদেশ! তোমার জয়ের ধ্বনি ভেসে
আসছে।


ওদের  দুর্বল, ক্ষীন অবয়বের অদ্ভুত বিদ্রোহ
দেখে,
মোদের স্নায়ুতে - স্নায়ুতে বিক্ষোভ
বিদ্রোহের দহন জ্বলে ওঠে।
ইচ্ছা করে হুতাশনে উদের পুড়িয়ে  অনিলে ভাসিয়ে দেই।
শুনতে পাচ্ছো মোর্ কথা হে প্রিয় স্বদেশ?
যুদ্ধের বাজনা ওরা  বাজাচ্ছে,
তুমি আছো এখনো দাঁড়িয়ে?
তব তরি বুঝি লহরীতে কম্পিত?
একারণে শত্রু সাহসী হয়েছে,
রয়েছে অক্ষত ।


আমি যানি , তোমার হৃদয়ে অজস্র ঔদার্য আছে,
আছে রুদ্র দেবের নেয় সাহস।
ওদের  বিরুদ্ধে, বিক্ষোভ বিদ্রোহের হুতাশনে
জ্বলে ওঠার দুরন্ত উচ্ছাস।
আমি যানি, ওদের নিষ্ঠুর ভয়ানক আঘাতে তোমার
হৃদয় একটু ক্লান্ত হইনি,
এ'আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
যানি, তুমি যে আর চাও না যুদ্ধ,
হারাতে চাচ্ছোনা লক্ষ লক্ষ বীর
দেখতে চাও না লোহিত রক্ত।
তবে, ঐ'দূর - দিগন্তে অাঁখিমেলে দেখো,
শত - শত নর আজ তোমার অবহেলায় অবাঞ্ছিত,
উৎপিড়ীত, আহতো - দেহান্ত।


তবে, এবার চাবেনা বিবাদ? অবয়ব থেকে
ঝরাবেনা রক্ত? বাহুতে এবার তলোয়ার নিয়ে
তোমায় করতে হবে শত্রু মুক্ত।
মোনে পড়ে কি তোমার ফেলে আসা অতীত
কাহিনী?
বিদ্রোহের হুতাশন জ্বালিয়ে, শৃঙ্গী হয়ে, দাঁড়িয়েছিলে
ওদের সম্মুখে,
চারিদিক ধ্বংস করে এনেছিলে অমৃত বানী।
তবে আজ কেন শান্ত ? তোমার বিদ্রোহের
বহ্নি তাপে ওদের ধ্বংস করে, ছুটে চলো ঐ'দূর -
দিগন্তে ,
মুক্ত অবনী গড়তে হবে স্বাধীন সৃষ্টির
উৎসবে।
..
উজ্জ্বল সরদার
দাকোপ - খুলনা।
--------------★------------