কে ডাকছে নাম ধরে বার 'বার আমারে,
আমি শিব এই খনে বসেছি গম্ভীরে।
লোচনে কি দেখতে পাচ্ছোনা হে তুমি?
চারিদিক শান্ত,
মহীরুহ দাঁড়িয়ে আছে দেখো নিরুপায় হয়ে
একান্ত।
ছিল যতো তার বপুতে পাতা ঝরে পড়ছে আজ মৃত্তিকায়,
তুমি কে ওগো সখী?
এই খনে হয়েছো অশান্ত কিসের আশায়।


স্রোতস্বতী,  মার্তণ্ডের বহ্নিতাপে দিয়েছে
আজ নিজেকে অমরেশের চরণে অাহতী।
বাজছেনা তার কণ্ঠে কল'কল' ধ্বনিতে গান,
শুকিয়ে হয়েছে মরুভূমি,
হাঁফিয়ে উঠেছে অবনী,
আজ সংকটে মোদের প্রাণ।
যানিনা, পরমা - প্রকৃতি, অন্যপূর্ণা - পার্বতী,রাগ করে কেন গেছে চলে,
আমি শশ্মান চারি শিব হৃদয়ের দুঃখে ছাই মেখে ধ্যান
করছি,
বিরহ হৃদয়ে দহন জ্বলে।


তবে, কে তুমি হে সখী !
এসেছো কমলিকা হয়ে এমন ও দুর্ভগা সময় ?
ধ্যান ভেঙেছে মোর্ তোমার
ভালোবাসায়।
তুষ্ট হয়ে দেখতে চাই
তোমায়, আঁখি সম্মুখে এসে,
হৃদয়ের কথা খুলে বলো আমায়।
এ'আমি কারে দেখছি, প্রতিনিয়ত যারে আমি
ডাকছি,
শ্যামা রূপ ধরে আজ দাঁড়িয়ে আছো ভৈরবী রূপে,
দণ্ড দেবে বুঝি এবার পাপীদের তপন তাপে?


বিবাদ ভূমী স্থাপন করেছ ঈশান ঐ' কনে,
অট্টহাসিতে ঝংকার তুলেছো তমিস্রা ক্ষণে,
তবুও অশুর কি আজও তোমায় মা রূপে মানে?
কিন্তু, আমি'তো তোমারে চিনি, তুমিতো অামার
ভামিনী,
অভাগার অন্যপূর্ণা - অসুরের চণ্ডালিনী।
যানিনা, আজ তুমি কতো ভয়ংকরী হবে?
রক্তবীজ শ্রেষ্ঠ চাষা, ফসল ফলাক অধিক
সকল অসুরের  এটা আশা।
তোমায় আজ খেতে হবে ওর রক্ত চুষে,
হে দেবী  কি ভাবে দেখবো তোমার এই
রূপ?
তোমার বিবাদের সম্মুখে বসে?


ক্ষণে, ক্ষণে চপলা জ্বেলে দেখাছো
তোমার ঐ'ভয়ানক রূপ,
আজ অবনীতে হয়েছে বিশাল বিশাল রক্ত মাংসের
স্থুপ।
এবার হও তুমি শান্ত হে দেবী!
আমি শিব, যগৎ ভলা,
তাই পড়লাম লুটিয়ে  তোমার সম্মুখে,
হয়েছো তুমি শ্রেষ্ঠ কালা।
মোর্ অঙ্গে লেগেছে তোমার চরণ,
আঁখি নিচে মেলে দেখো হে প্রিয় !
শান্ত করো তোমার ঐ' ক্ষিপ্ত মোন।


উজ্জ্বল সরদার
দাকোপ - খুলনা
------★------