রুধিয়া দুয়ার  খুলিয়া,
কে  আসিয়াছে আঁখি তুলিয়া?
রূপে তার বহ্নি জ্বলিতেছে,
অবনী ঝলমল করিতেছে,
যামিনী ঘুচিয়াছে,
দ্বারে প্রভাতী চলিতেছে।
তব ছোঁয়ায়, নাচিয়া উঠিয়াছে সকল হৃদয়,
করুণা করিতেছ্,তুমি করুণাময়।
ফুল ফুটিয়াছে কাননে,
গীত গাইতেছি আনমনে,
তব প্রেমে পড়িয়াছি যৌবনে।


শমনীর শেষে,
আসিয়াছো  নিল আকাশে ,
মোর নিদ্রা ভাঙিয়াছে আবাসে,
তুমি বীর,  
কিরণ দিচ্ছো তাই প্রকাশে।
তব আশায়, হীম লুকায়,
তিমির ঘুচায়,নক্ত লুকায় অন্তরালে,
তুমি মহান ,
এই পৃথিবী  তাহা বলে।
তোমায় দেখিয়া জাগিয়া ওঠে সকলের প্রাণ,
ফেলাইয়া  দিয়াছে অবগুণ্ঠন,
জিঞ্জির বাঁধা ভাঙিয়া ছুটিয়া চলিতেছে দিগন্তে,
হইয়াছে সকলে বীর বিপ্লবী মহান।


তবে মম কাছে বলো,
কাহারে ভালোবাসিয়া, অবনীতে আসিয়া,
প্রদীপ হইয়া দীপ্তি মেলো?
সে তব কাছে এতোই কি চাহিতেছে?
দিনভোর দীপ্তি ছড়াইয়া উজ্জ্বল করিতে হইতেছে।
হৃদয়ের ভালোবাসায় সাজাইতেছো যাহারে,
আসিয়াছে কি সে তরী তব কানারে?
তবে তব য়ে কেমন প্রেম?
চাওয়া পাওয়া নাই মোদের সম,
ত্যাগ করিয়া, দিন শেষে জাইতেছো চলিয়া,
তুমি অন্তর্যামী মম।


তব আসায়,দ্বীপের বালি ও ঝলসায়,
সুপ্তি ভাঙিয়া ছোটে তাহারা সমীরে মিশে,
নিরলস - নির্ভীক হইয়া শত্রু মারে মৃত্তিকায় পিষে।
তব মাঝে এতো প্রেম, ভালোবাসা, এতো শক্তি
কথা হইতে আসে?
অভাগার তৃষ্ণা মিটাইতে তরু সৃষ্টি করিতেছো,
সবুজ শ্যামল দেখিয়া এ' নর হর্ষে হাসে।
অবনীর সবি সৃষ্টি করিয়াছো তুমি,
অনাথের্ নাথ, মোদের অন্তর্যামী,
সকাল- সন্ধ্যা তোমায় পূজা করিতেছি,
তুমি পরেশ , অভাগা আমি ।
//
/// উজ্জ্বল সরদার
\দাকোপ খুলনা