শমনী শেষে রবিকর  পাতে,
পুলোকের আবরণে বিহঙ্গ হয়ে হৃদয়
মাতে।
মোর কেবল অন্তরীক্ষে ছুটে চলা,
হে সখী !
দেখ্ দ্বারে চলছে বসন্তের প্রভাত বেলা।
ঝলমল করছে অবনী,
সবুজে প্লাবন  বনানী,
তুমি তরী, তব প্রেমে হয়েছি তটিনী।


আজ মোর আঁখি হতে ঝরছে জল,
সিন্ধু ফুলে ফেঁপে লহরীতে উত্তল।
সমীর হয়েছে ক্ষিপ্ত,
মোর প্রেম হয়েছে তব কাছে তীক্ষত?
হে সখী !
বিরহ বেদনাময় বসে  একান্ত।


যুগ যুগ ধরে যুগল মিলনের ইচ্ছা'ই ঘুরছি আমি,
শয়নে স্বপনে আমি হই মাধব,
রাঁধা হও তুমি।
তব হৃদয়ের কথা,
না যানে পরেশ পিতা,
আমি 'তো অভাগা,  
কি ভাবে জানবো  তব হৃদয়ের সে কথা?
ছুটছি কুঞ্জবনে , তব সন্ধানে,
পরভৃত সুরে ডাকছি এসো ফিরে হে সখী,
তব মুখ খানি দেখি,
মোর তৃষিত আকুল আঁখি।


শমনী শেষে পুষার প্রভা পৃথিবীতে,
তুমি আছো কোন মিলনগৃহে এই প্রভাতীতে?
সে নিলয়ের সদা থাকে কি রুদ্ধ দ্বার ?
মোর কাছে আসতে পারনা একবার?
আমার হৃদয় যে তব বিহনে দরিয়ার সলিলে একাকার।
আজ কাননে ফুটেছে হাজার্ ফুল, সুগন্ধে
অতুল,
তা দিয়ে গেঁথেছি মালা !
পরাতে চায়েছিলাম তব গলে,
মোর হৃদয় বিরহ দহনে জ্বলে।


///
উজ্জ্বল সরদার
দাকোপ - খুলনা
------------///-----------