আমি আজ আশফুটো পান্থ এক কবি,
নবীনে নব পথ রচনা করতে হয়েছিলুম
           অন্তরীক্ষের রবি।
তোমরা চকিত পান্থ হয়ে দল বেঁধে চলো,
পথের মাঝে কাঁটা থাকলে
                        সব সাধনা ভলো।
পাদুকা দিয়েছো তাই আজ  চরণ তলে,
    ব্যথা দিতে চাওনা যে  হৃদয় কোমলে,
হর্ষে শান্তি নিকেতন খুজতে থাকো,
    তৃষিত আকুল আঁখি মেলে।


তবে ভীতু হয়ে,
  নিজের কর্ম ভুলে-সর্বদা ঘুমিয়ে,
     অন্তরালে থাকবে আর কতদিন লুকিয়ে?
দুঃখের দুয়ার ভাঙার পরে
   তবেই পারে প্রবেশ করতে সুখের নিলয়ে।
অন্তরীক্ষের অর্ষমা,
   কিরণ দেয় প্রতিদিন
        প্রাচীন প্রাচী হতে
            গৌরশিখর টপকে,
তোমাদের মতো ভিতু হলে
      সেতো সেখানেই থাকতো আটকে।
আমি যৌবনে,
    হিম্মৎওয়ালা পান্থ হয়ে,  
        সৃষ্টি করেছি তোমাদের লাগি কতো পথ,
              সকল দুঃখ-বেদনা,
  তৃষিত অন্তরে লহরী তুলে
বারে-বারে দিয়েছে দেহান্তের যন্ত্রণা,
বিদ্রোহিণী হয়ে করেছি বিধ্বংসের শপথ।


বাহুতে ধরেছিলাম বোমা-বন্দুক-তলোয়ার,
হাজার অসুরের বলীদিয়েছি,
শুরু হয়েছিল সাইক্লোন-ঝড়।
বাদলের ধারায়
    সলিল হয়ে ঝরে পড়ছিল লোহিত রক্ত,
প্রবহমান প্রবাহিণী
   সৃষ্টি হয়েছিল মৃত্তিকা চিরে,
স্বদেশের সর্বক্ষণে গেড়েছিল নক্ত।
তটিনীতে তরী ডুবেছিল,
  সাইক্লোনে সায়বে লহরী উঠেছিল,
ওদের পুলিন ভেঙেছিল।
তবেই আমি দিয়েছি এমন পথের প্রাণ,
উঠেছি বিপ্লবী কবি হয়ে,
      লিখেছি জয়-জয় গান।
//
উজ্জ্বল সরদার
দাকোপ খুলনা
-----------///----------