রাজ্যভোগে রাজাকে আগে, দাস বানিয়েছে ওরা!
যুধিষ্ঠির আহত আমরা নত, হয়েছি সর্বহারা।
ছলনার-ছলে, পাশা খেলে, রাজ্যচ্যুত করলো!
শকুনির চক্রান্ত আমি আক্রান্ত,কত দণ্ড দিলো।
দ্রোপদীর বস্ত্রহরণ করলো দুর্যোধন, পূর্ণ রাজ সভায়!
ধর্ম অন্ধ ধার্মিক,খুঁজে পায় কি দিক? বসে নীরবতায়।
আজ আমরা বনবাসী হয়েছি দাস-দাসী, মিথ্যা বিচারে!
কত কষ্টে কাটে দিন এসেছে দুর্দিন, আঁখিতে অশ্রুঝরে-
চলছে অজ্ঞাতবাস। আছি অন্তরালে পরাধীন দেশে!
সময় হলে উঠবো জ্বলে, গাণ্ডীব হাতে বিধ্বংসে।


আরো রুদ্র তাণ্ডব হবে, সংগ্রাম হবে,ঝরবে রক্ত রণক্ষেত্রে!
শত্রু চতুর্দিকে খুঁজছে আমাকে,আমরা আছি একত্রে।
কাল প্রভাতে রাজ্যের দাবিতে আসবো আমরা,
যদি হই অবাঞ্ছিত করবো ক্ষত অস্ত্র দ্বারা।
পাঠিয়েছি দূত বন্দী ভূত,সকল ষড়যন্ত্র গেলো বিফলে!
ও-যে দেবতা, কে করবে হত্যা? ওরা হবে অন্ত-অকালে।
দেখা হবে, যুদ্ধ হবে, রচিত হবে রক্তে-রঞ্জিত কুরুক্ষেত্র!
কত মরবে মহারথী,হবে রক্তে স্নাত-সতী,সঙ্গ দাও হে মিত্র।
প্রাণে প্রতিজ্ঞা জাগ্রত শত শত্রু হত,করছি রক্ত পান!
ওই অশ্বত্থামা পাবেনা ক্ষমা,করেছি অনন্তকালের দণ্ড প্রদান।



রচনাকাল ২৮  জুলাই ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ
বাংলা- ১১  শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ (রবিবার)
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।