শারদীয়া
     ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


শরতের নীল শূন্যে পুঞ্জমেঘে রচিত, হিমগিরির অন্তস্তলে
হাসছে হিমকর।
হৈমন্তিক হিমেল হাওয়া আমন দুলিয়ে,আজ যেন শরদিন্দুকে
প্রণাম জানাচ্ছে।
তাই শরৎ এর স্নিগ্ধতায়, বৈচিত্র্য কাব্যিকতায়,
কবি লিখতে বসেছে বোধন গীতি।
আর নিশির-শিশির জমানো ঘাসে পদচিহ্ন রেখে, শৈশবে
শিউলি কুড়ানো চিত্র-
জীবন স্মৃতিতে এঁকে চলেছে শিল্পী শারদ-প্রাতে।


আমি আজও শুনি ওই প্রকৃতির চরণে সেই নূপুরধ্বনি,
যা বনানী পথে নিশুতি রাতে জাগরণী গান গেয়ে যায়।
আজ মাতাল-মারুতে দুলছে যে কাশফুল, তার শরীর ঘেঁষে
হৃদয়ে নেশার শিহরণ তুলে, প্রাচীন পথ ধরে হেটে চলেছে  
সেই অনন্ত যৌবনা উর্বশী।
সন্ধ্যামণির মত দেবী সজ্জিত রূপে ঝিলের জলে নেমে যে
নীলপদ্ম এনেছে তুলে,
তা দেখে তার রূপ- লাবণ্যে বড়ো বিস্ময় হই ।
জনম ধরে যে বাসনায় নিমজ্জিত প্রাণ, বৃহৎ গ্রহমণ্ডল ঘুরে
পূর্ণতা পায় এখানেই এই মাহেন্দ্রক্ষণে।


বহিরাবরণ বেশে তাই ছুটে যাই পিছু নিয়ে,
সম্মুখ হবার ভীষণ প্রচেষ্টা।
শ্বেত-শিখর সরিয়ে ঝরা শিউলি তলে বুক রাখতেই,
চরণ স্পর্শে খুলে যায় মন মন্দিরের দ্বার।
আর তখনি বেজে ওঠে মাদল-কাঁসি-সুখের বাঁশী এখানেই।
এখানেই নর্তকীরা নৃত্য করে আর আমি করি আরতি শারদ-
সন্ধ্যায়, এবং হয়ে উঠি প্রকৃতি প্রেমের উত্তম পূজারী।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ইং-২ অক্টোবর ২০১৯ সাল
বাংলা- ১৭ আশ্বিন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ.. (বুধবার)
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।