সন্ধ্যা
   ✍- উজ্জ্বল সরদার আর্য


দিনশেষে ক্লান্ত তরুণ অর্যমা অস্তমিত হলো।
বিরহিণী বধূর আঁচল সরিয়ে,রূপ-রঞ্জিত
করতে গোধূলি করলো প্রবেশ।
ঠিক তখনি শিল্পীর আঁকা রঙিন ছবির পথ ধরে,
হেটে চলেছি নীরবে-নিস্তব্ধে।
আর অপলক দৃষ্টি পুঞ্জমেঘে সৃষ্টি নীলঞ্জনা হয়ে,
ছুঁয়েছে ওই দূরের নীলাদ্রিকে।
পাথর ক্ষয়ে যে অমৃত ধারা ঝরে পড়ছে,
তা দেখে স্বর্গ রাজ উর্বশী ভেবে এই ক্ষণে
এখানেই ভিড় করে।
আমিও কি করি অপেক্ষা, না প্রতীক্ষা,
না ভালোবাসায় নির্মিত প্রেমের মহাকাব্য কে করি খোঁজ?


উত্তর প্রাণে পেতেই পৃথিবীতে আসতে শুরু করে
শীতল-সমীর।
আমার শত কষ্টের দীর্ঘশ্বাসে, কেঁপে ওঠে হৃদয়।
ক্লান্ত জেলেরা ফিরে আসতে শুরু করে ঘাটে,
আমি রাখালের বাঁশির সুরে নৃত্য করি মাঠে।
এই ক্ষণে ময়ূরের পালক আমাকে করে স্পর্শ,
কার্তিক বেশে পিঠে বসে, করি কবির কল্পনা।
পত্নীরা প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যানি করছে ঘরে-ঘরে,
চাষিরাও এলো ফিরে, খুঁজছে গৃহ পাখির দল।
লক্ষ নক্ষত্রের উপস্থিতিতে ঝলমল করে উঠলো
অন্তহীন অন্তরীক্ষ,
আমার দারিদ্র হৃদয় তৃপ্ত হয় এই উদার সন্ধ্যায়,
ভুলে যাই সকল দুঃখ।


✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ২১ জুলাই ২০০৯ সাল
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।