শ্রমবিমুখতা
✍- উজ্জ্বল সরদার আর্য


রথের চাকা হয়ে বোকা ঘুরছে সারাবেলা,
সারথি তারে এনেছে ধরে বুকে শুধু জ্বালা।
হৃদয়ে ক্রন্দন সজল নয়ন বেড়িকে শুধু ডাকে,
ও-রে যারে চলে আমায় ভুলে বাঁচা আমাকে।


কেন ভাই কি করেছি তোমায়? তুমি তো অক্ষত!
শত যাতনা সয়েছি বঞ্চনা, তবুও পরিশ্রমে রত।
আছি চারিপাশে ভালোবেসে, এত ভয় কেন গো?
যাচ্ছি ক্ষয়ে তুমি আছো হৃদয়ে চিরকাল থাকবে গো।


কত ভালোরে তুই হয়ে জুঁই গন্ধ ছোড়া আপন মনে,
আমি যে ক্লান্ত হব শান্ত থাকবো নারে তোর সনে।
ক্ষত দেহে দিগন্ত পেরিয়ে, কি করে এত হর্ষে হাসিস?
ছিলাম কত সুখে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে, পান করালি বিষ।


শুনে বেড়ি কয় তাই বুঝি ভাই?  আমি যাবো চলে!
চিন্তা করো না এত কাঁদে না, ক্ষমা চাই আমার ভুলে।
তবে এই ক্ষণে কিছু কথা বলি দুজনে,সুখ সইবে কি?
যদি যাই ছেড়ে তুমি থাকবে পড়ে,বাঁচিয়ে রাখবে কি?


ধুর মশাই নাও না বিদায় আমার যে আর সইছে না,
গেলে ছেড়ে ফিরবো নীড়ে একটুও বোঝে না।
হায়-হায়-হায় দাও তবে বিদায়,আর বিরক্ত করবো না!
গেলাম ছেড়ে নুড়ি পাথর-ভিড়ে, রস রঙ্গে মন মাতে না।


করে আরো চিৎকার, কি হলো তোমার? আর পারিনা-
হচ্ছি ক্ষত এবার হবো হত, তবুও সারথি নামে না।
শুনে হেসে-হেসে বেড়ি কয় বাড়ি পর্যন্ত চলো ভাই,
তবেই তোমায় খুলবে দেবে মুক্তির চরণে ঠাই।


সারথি যে আছে রেগে বাড়ি গিয়ে খুলেছে আগে,
অচল হয়ে যাবি জ্বালিয়ে? হৃদয়ে নিষ্ঠুরতা জাগে।
বধূরে ডেকে কয় একে দাও বিদায় উনুনের জ্বালে,
শুনে মরি ডুবেছে তরি অলসের অশ্রু জলে।


✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ৬ জুন ২০০৯ সাল
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।